গুমের শিকার পরিবারগুলোর পুনর্বাসন নিয়ে ভাবছে সরকার: আসিফ নজরুল
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বলেছেন, সরকার জোরপূর্বক গুমের শিকার পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের বিষয়টি বিবেচনা করছে।
'খুনের চেয়েও খারাপ অপরাধ গুম। যদিও সরকার বিভিন্ন কারণে কিছু সীমাবদ্ধতার সম্মুখীন, তবে জোরপূর্বক গুমের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়নে সরকার সম্পূর্ণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ,' তিনি উল্লেখ করেন।
রাজধানীর গুলশানে অধিকার সংস্থা 'অধিকার'-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলেন্টারি ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স (এএফএডি)-এর অষ্টম কংগ্রেসের উদ্বোধনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা অতীতের কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার প্রভাব মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে বলেন, 'ফ্যাসিবাদের শিকড় অনেক গভীরে। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ১৫ বছরের শাসনব্যবস্থা মোকাবিলা করা একেবারেই সহজ কাজ নয়।'
৩১ অক্টোবর পর্যন্ত গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন ঢাকার আটটি গোপন আটক সেল চিহ্নিত করেছে এবং বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে এক হাজার ৬০০টিরও বেশি নিখোঁজের অভিযোগ পেয়েছে।
হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিশনটি অন্তর্বর্তী সরকার ২৭ আগস্ট গঠন করে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারী থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ঘটে যাওয়া জোরপূর্বক গুমের ঘটনাগুলোর তদন্ত করবে এটি।
সরকার ১৯৫৬ সালের 'কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট'-এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে। এর ফলে কমিশনকে দেওয়ানি আদালতের বিচারিক ক্ষমতা, ব্যক্তিদের তলব করার ক্ষমতা, কোনো স্থানে প্রবেশ করার অনুমতি এবং প্রাসঙ্গিক নথি জব্দ করার অধিকার দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, কমিশন পুলিশকে যেকোনো বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিতে পারবে এবং যদি কোনো ফৌজদারি অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে দণ্ডবিধির অধীনে বিচার করার জন্য মামলাটি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠাতে পারবে।