বাংলাদেশের সামনে রান পাহাড় পাড়ি দেওয়ার চ্যালেঞ্জ
মিকাইল লুই ও আলিক আথানেজকে অল্প সময়ের ব্যবধানে ফেরানোর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরও দুটি উইকেট তুলে নিতে সময় নেয়নি বাংলাদেশ। তখন মনে হয়েছিল ৩০০ বা এর আশেপাশে স্বাগতিকদের বেধে ফেলবে বাংলাদেশ। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি, অষ্টম উইকেটে জুটি গড়ে তুললেন সেঞ্চুরিয়ান জাস্টিন গ্রিভস ও পেসার কেমার। এই জুটিতে কেবল বিপর্যয়ই কাটায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, গড়েছে বড় সংগ্রহও।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ৪৫০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ, ২১ রানের মধ্যেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। ২০ ওভারে ২ উইকেটে ৪০ রান তুলে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে সফরকারীরা। মুমিনুল হক ৭ ও শাহাদাত হোসেন দিপু ১০ রানে অপরাচিত আছেন। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ পিছিয়ে ৪১০ রানে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসের জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আগের বলেই জেডেন সিলসকে চার মারা জাকির হাসান পরের ডেলিভারিটি ঠিকঠাকভাবে সামলাতে পারেননি। শর্ট লেংথের বলে ব্যাট চালিয়ে আন্ডার এজে বোল্ড হন ৩৪ বলে ৩টি চারে ১৫ রান করা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। এক রান পরই বিদায় নেন আগে একবার জীবন পাওয়া মাহমুদুল হাসান জয়। ৩৩ বলে ৫ রান করা জয় আলজারি জোসেফের শিকারে পরিণত হন।
এর আগে ৫ উইকেটে ২৫০ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এদিন ৩ রান যোগ করতেই জশুয়া ডি সিলভার উইকেট হারায় তারা, ক্যারিবীয় উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানকে ফেরান হাসান মাহমুদ। কিছুক্ষণ পরই আলজারির জোসেফের উইকেটেও তুলে নেন হাসান। কিন্তু এখান থেকে যে জুটি গড়েন গ্রিভস ও রোচ, তাদের সামনে দিশাহীন হয়ে পড়ে বাংলাদেশের বোলাররা।
অষ্টম উইকেটে এ দুজন ১৪০ রানের জুটি গড়েন, যা নিজেদের ইনিংসের যৌথভাবে সর্বোচ্চ রানের জুটি। চতুর্থ উইকেটেও ১৪০ রানে জুটি পায় তারা। অষ্টম উইকেটে গ্রিভস-রোচের জুটিটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় সেরা। তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া গ্রিভস ২০৬ ৪টি চারে ১১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
তাকে দারুণ সঙ্গ দেওয়া রোচ ১৪৪ বলে করেন ৪৭ রান। বল বোকাবিলা ও রানে এটাই তার টেস্ট ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। সিলস ১৮ ও শামার জোসেফ ১১ রান করেন। বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। এই তিন উইকেটে একটি কীর্তিতে তার নাম উঠেছে, এক বছরে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। তাসকিন ও মিরাজ ২টি করে উইকেট নেন। একটি উইকেট পান তাইজুল ইসলাম।