গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ট্রাম্প টিমের সঙ্গে আলোচনা করছে কাতার
যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরে, গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা নতুন করে উঁকি দিচ্ছে। এই বাস্তবতায়, আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনের সাথে কথাবার্তা বলছেন কাতারের কর্মকর্তারা।
আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) একথা জানিয়েছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত এরমধ্যেই কাতার ও ইসরায়েল সফর করেছেন, যাতে যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্প কূটনৈতিকভাবে তৎপরতা শুরু করতে পারেন। আগামী ২০ জানুয়ারি ট্রাম্পের অভিষেক, তার আগেই হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মুক্তিসহ একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি কার্যকর করতে চান তিনি। এসব আলোচনার বিষয়ে অবহিত একটি সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স তার সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত হিসেবে মনোনীত স্টিভ উইটকফ গত সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী আল থানির সাথে পৃথকভাবে বৈঠকও করেছেন।
এমতাবস্থায়, কাতারের রাজধানী দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে আল থানি বলেন, 'ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার আগেই একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছাতে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রশাসনের থেকে অনেক উৎসাহ পাচ্ছি। এজন্য আমরা আগের প্রচেষ্টাগুলোকে পুনরায় সঠিকপথে আনার চেষ্টা করছি। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই আমরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।'
কাতার এর আগেও গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় যুক্ত হয়েছিল, তবে ইসরায়েলের বিরোধিতা এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন থাকায়– প্রতিবারেই ভেস্তে গেছে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ।
অথচ ছোট্ট গাজা উপত্যকায় গত ১৪ মাস ধরে যুদ্ধের নামে গণহত্যা চলছে, এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে সম্পূর্ণ উপত্যকা। কেবল আনুষ্ঠানিক হিসাবেই ৪৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি এপর্যন্ত নিহত হয়েছেন। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অজস্র মানুষের মৃতদেহ রয়েছে, যা এ হিসাবের বাইরে। ইসরায়েলের কঠিন অবরোধের কারণে, খাদ্য, পানি ও ওষুধের অভাবে মারা যাওয়া ফিলিস্তিনিদের সংখ্যাও এরমধ্যে নেই। সেখানকার পরিস্থিতি অবর্ণনীয়।
এরমধ্যে হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নির্মুল করতে ও তাঁদের হাতে বন্দি জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।