পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে রাতে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে ঢাকা
চার দিনের সরকারি সফরে পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস-হোর্তা আজ রাতে ঢাকায় পৌঁছাবেন। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার। তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তার সঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল থাকবে। প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার এবং লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মূল বৈঠক এবং চুক্তি
সফরকালে প্রেসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক ও অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন আগামীকাল রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রামোস-হোর্তা পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। পরে তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করবেন এবং এরপর প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠক করবেন।
বৈঠকের পরে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দুই দেশ ভিসা ছাড় এবং ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিন বিকালে রামোস-হোর্তা বাংলাদেশে পূর্ব তিমুরের অনারারি কনসাল কুতুবউদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ও বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
বিজয় দিবস উদযাপনে অংশগ্রহণ
পরদিন সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রামোস-হোর্তা বঙ্গভবনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করবেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক বিজয় উপলক্ষে আয়োজিত ৫৪তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট।
তারুণ্যের উদ্দেশে ভাষণ ও বিদায়
পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট তার শেষ দিন মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে 'সমসাময়িক বিশ্বে শান্তির চ্যালেঞ্জ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেবেন।
হোসে রামোস-হোর্তা বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ও তরুণ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তার দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা, জনগণের ভূমিকা এবং পূর্ব তিমুরের স্বাধীনতা-পরবর্তী আকাঙ্ক্ষা নিয়েও কথা বলবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পূর্ব তিমুরের মধ্যে কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট রামোস হোর্তা তার সফর শেষ করবেন।