আমাদের জাতীয় স্বার্থ ঠিক রাখতে হবে: এম হুমায়ুন কবির
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ুন কবির বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থ এমন একটি বিষয়, যেটি সরকার পরিবর্তন হলেও বদলায় না। কারণ, জাতীয় স্বার্থের মৌলিক জায়গাটা হচ্ছে জনগণের স্বার্থ। কাজেই যেই সরকারই থাকুক, সে যদি জনগণের স্বার্থে বিশ্বাস করে, তাহলে তাকে আগে কাজ করতে হবে।
আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
এম হুমায়ুন কবির বলেন, বিগত ৫৩ বছরে যখন যে সরকার যখন ক্ষমতায় থেকেছে, সে সরকারকেই জাতীয় স্বার্থ ঠিক রাখার কথা বলেছি।
তিনি বলেন, আমরা এখন গত ১৫ বছরের কথা বললেও আমার কাছে মনে হয়েছে গত ৫৩ বছর ধরেই আমরা রেজিম সেন্ট্রিক। যে সরকার যখন থেকেছে, আমি সেই সরকারের কথাই বলছি। ফলে আমি ধারাবাহিক কোনো ফ্রেম দাঁড় করাতে পারিনি।
সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ যখন ক্ষমতায় এলেন, তাড়াতাড়ি সব ফেলে দাও, বইপত্র সব ফেলে দাও, ফাইলপত্র সব ফেলে দাও। কী দাঁড়াল? এত বছর আমরা যা করলাম, তার কিছুই অবশিষ্ট রইল না। লোকেরা আমাদের জিজ্ঞাসা করছে, তোমরা ঐদিন বললে ওটা, এখন বলছ এটা৷ ধারাবাহিকতা না থাকায় মানুষ আমাদের প্রশ্ন করে। এতে পররাষ্ট্রনীতি ধারাবাহিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে জটিলতা তৈরি হয়।
আমরা এখন পর্যন্ত প্রতিক্রিয়াশীল উল্লেখ করে সাবেক রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা ঘটনা ঘটলে রিঅ্যাক্ট করি। এখন বাংলাদেশ যে জায়গায় আসছে, যে ভূ-রাজনৈতিক কৌশল আসছে, তাতে প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে বেঁচে থাকতে পারবেন না। রোহিঙ্গা এর বড় উদাহরণ। ঘাড়ের ওপর এসে পড়ার পর আমরা এখন এটা সরানোর চেষ্টা করছি। এটা প্রতিরোধের জন্য শুরুতে আমাদের সুযোগ ছিল, যা আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। ভবিষ্যতে যেন আর এ রকম পরিস্থিতে না পড়ি, সেজন্য আমাদের প্রোএক্টিভ হওয়া দরকার।