ভূমি দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের ইমরান খানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ভূমি দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রাওয়ালপিন্ডির যে কারাগারে ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে বন্দি আছেন, সেখানেই আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করা হয়।
ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে এবং ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আগে তিনি জামিনে থাকলেও, রায় ঘোষণার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার জানান, ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) উচ্চ আদালতে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারে। তিনি প্রেসিডেন্টের কাছে দয়া প্রার্থনা করার সুযোগও পাবেন। ইমরানের উপদেষ্টা ওমর আইয়ুব বলেন, পিটিআই এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে লড়াই করবে।
মামলাটি আল-কাদির ট্রাস্ট নামে একটি দাতব্য সংস্থাকে ঘিরে, যা ২০১৮ সালে ইমরান খান ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠা করেন। তখন ইমরান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই ট্রাস্টের আড়াল ইমরান খান ও তার স্ত্রী দেশের প্রভাবশালী রিয়েল-এস্টেট ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ হুসেইনের কাছ থেকে ঘুষ হিসেবে জমি নিয়েছেন। মালিক রিয়াজ পাকিস্তানের অন্যতম ধনী ও ক্ষমতাবান ব্যক্তি। তবে ইমরান ও বুশরা উভয়েই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পিটিআই জানিয়েছে, এই জমি ব্যক্তিগত লাভের জন্য নয়, বরং শিক্ষা ও আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য নেওয়া হয়েছিল। তারা বলছে, মামলাটি ভিত্তিহীন এবং কোনো প্রমাণ ছাড়াই দেওয়া হয়েছে।
পিটিআইয়ের ফরেন মিডিয়া শাখা এক বিবৃতিতে জানায়, "আমরা রায়ের বিস্তারিত তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি, তবে এটি উল্লেখ করা জরুরি যে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে কোনো মজবুত ভিত্তি নেই এবং এটি টিকবে না।"
২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনে পিটিআই ভালো ফল করলেও সরকার গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। ইমরান খান বর্তমানে অনেকগুলো মামলার মুখোমুখি, যার মধ্যে বেশিরভাগ থেকেই তিনি মুক্তি পেয়েছেন। তবে এই মামলায় এবং একটি সহিংসতার ঘটনায় তার সাজা বহাল রয়েছে।