আমরা রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে ঢুকতে চাই না: সিইসি
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কোন বক্তব্যে এখন ঢুকতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন।
তিনি বলছেন প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত টাইমফ্রেম মাথায় রেখে কাজ করছি আমরা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে ইউএনডিপি ও ইসির মধ্যে বিভিন্ন কারিগরি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় ইউএনডিপির প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
একটি রাজনৈতিক দলের দাবি এ বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে নির্বাচনের, এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, "রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে আমরা ঢুকতে চাই না। আমরা আইন, কানুন, বিধি-বিধান, সিস্টেমের মধ্যে থাকব। আমরা সবাইকে ফ্রি ফেয়ার গেইম উপহার দিতে চাই। অল প্লেয়ারস ক্যান প্লে আন্ডার দি রুলস অব দি গেইম। এমন পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে চাই।"
ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা আগামী সংসদ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে বা আগামী বছরের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠানের কথা বলেছেন।
অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত সময়ে প্রস্তুতি চলছে কিনা জানতে চাইলে সিইসি বলেন, "একদম, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ঘোষিত যে টাইম ফ্রেম; ওইটাকে মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি।"
২০ জানুয়ারি সোমবার থেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ শুরু হচ্ছে। সাভারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে।
এ হালনাগাদে সহায়তায় কিছু যন্ত্রাংশ হাতে পেয়ে সিইসি জানান, ইউএনডিপি কমিশনকে কারিগরি সহায়তা করতে একটা 'নিড অ্যাসেসমেন্ট' টিম পাঠিয়েছে। তারা ল্যাপটপ, ক্যামেরা, স্ক্যানার ও ব্যাগ (১৭৫টি ল্যাপটপ, স্ক্যানার ২০০, ব্যাগ ৪৩০০ টি) হস্তান্তর করেছে।
৬৫ হাজার লোকবল কাজে নিয়োজিত থাকবে। ইউএনডিপির এ সহায়তায় আমরা কৃতজ্ঞ। ইলেকশন প্রসেসেও আমরা হয়ত তাদের সহায়তা চাইব। আশা করি, সাপোর্ট দিয়ে যাবে। এটা শুরু মাত্র, তা অব্যাহত থাকবে। ছয় মাসের মধ্যে হালনাগাদের কাজ শেষ হবে বলে আশা রাখেন সিইসি।
"আমরা ছয় মাসের জন্য প্ল্যান করেছি" জানিয়ে তিনি বলেন, "কিছু কমবেশি হতে পারে। টার্গেট হচ্ছে- ছয় মাসের যাতে শেষ করতে পারি।"
এ হালনাগাদে প্রায় ১৯ লাখ নতুন ভোটার যুক্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।