সাভারে উচ্চ শক্তি প্রেরণ কেন্দ্রে টেন্ডার বক্স ভেঙে শিডিউল লুট
ঢাকার সাভারে নিলাম কার্যক্রম চলাকালীন বাংলাদেশ বেতারের কেপিআই শ্রেণিভুক্ত প্রতিষ্ঠান 'উচ্চ শক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-১' এ ঢুকে টেন্ডার বক্স ভাঙচুরের পাশাপাশি জমা হওয়া ছয়-সাতটি শিডিউল লুটের ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির আবাসিক প্রকৌশলী মো. মঈনুল হকের কক্ষে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি নামিয়ে ভেঙে ফেলা হয়।
যোগাযোগ করা হলে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া এ বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি'।
সুত্র জানায়, সম্প্রতি সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ বেতারের উচ্চ শক্তি প্রেরণ কেন্দ্র-১ এর চারটি স্টোরে সংরক্ষিত অকেজো/অব্যহৃত পুরনো মালামাল নিলামে বিক্রির জন্য প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিক/আগ্রহী ফার্ম/প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোটেশন/দরপত্র আহ্বান করা হয়। আজ ছিল দরপত্র বা শিডিউল জমা দেওয়ার শেষ দিন।
ঘটনার পর সেখানে উপস্থিত এক সাংবাদিককে মঈনুল হক জানান, পুর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী সকাল থেকে বিভিন্ন শিডিউল ক্রয়কারী আগ্রহী ক্রেতা/প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত টেন্ডার বক্সে তাদের শিডিউল জমা করা শুরু করে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ছিল প্রতিটি শিডিউল ক্রয়ে আগ্রহী ক্রেতা/প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে একজন মানি রিসিপট প্রদর্শন সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে দরপত্র জমা দিতে পারবে।
তিনি জানান, কিন্তু সকাল ১০টার পর ৩০-৪০ জনের একটি দল উচ্চ শক্তি প্রেরণ কেন্দ্রে প্রবেশ করে মঈনুল হকের কক্ষে ঢুকে তাকে শিডিউল বাতিলের জন্য চাপ প্রয়োগ করে। একপর্যায়ে তারা ওই কর্মকর্তার কক্ষে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করে টেন্ডার বক্স নিয়ে বাইরে চলে যায়। পরে তারা বক্সটি ভেঙে সব শিডিউল নিয়ে চলে যায়।
প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিরাজুল ইসলাম দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, সকালে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ আমাকে প্রতিষ্ঠানের গেইটে ফোর্সসহ অবস্থান করতে বলেন। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমি সেখানেই ছিলাম। নির্দেশনা ছিল যারা শিডিউল কিনেছে, কর্তৃপক্ষের সরবরাহ করা তালিকা অনুযায়ী যাচাই করে তাদের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া। আমিও তাই করছিলাম। হঠাৎ দেখি আলাদা আলাদাভাবে ভেতরে প্রবেশ করাদের মধ্যে একটি অংশ উত্তেজিত অবস্থায় একসঙ্গে বেরিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, পরে ভেতর থেকে ডাকা হলে গিয়ে দেখি টেন্ডার বক্স ভাঙা। পরে আমি সাভার থানায় যোগাযোগ করলে সেখান থেকেও পুলিশের টিম আসে।
'কথা ছিল নিরাপত্তার স্বার্থে সাভার মডেল থানার থানার একটি ফোর্সও এখানে দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু সকালে তারা আসার আগেই কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়। আমার সাথে মাত্র চারজন কনস্টেবল ছিল', যোগ করেন তিনি।
প্রতিষ্ঠান সুত্র জানায়, এ নিলাম কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে দুই শতাধিক শিডিউল বিক্রি হয়, যার প্রতিটির মুল্য এক হাজার টাকা।