ঘরের মাঠে টানা দ্বিতীয় হার চিটাগং কিংসের
হার দিয়ে শুরু করার পর জয়ের মালা বড়ই করে যাচ্ছিল চিটাগং কিংস। ঢাকার প্রথম পর্বে দুটি ম্যাচ খেলে সিলেটে অপরাজিত থাকা দলটি ঘরের মাঠ চট্টগ্রামেও দুর্বার শুরু করে। কিন্তু টানা চার জয়ের পর হঠাৎ-ই যেন দিক হারিয়ে বসেছে চিটাগং। আগের ম্যাচে হার মানা দলটি আজও মাঠ ছাড়লো হারের হতাশা নিয়ে। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে সহজ জয় তুলে নিলো ফরচুন বরিশাল।
রোববার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। আসরটির বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এটা পঞ্চম জয়। সাত ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার দুই নম্বর দল বরিশাল। আট ম্যাচের সবগুলো জিতে সবার আগে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে রংপুর রাইডার্স। এ পথে তাদের পরই আছে তামিম ইকবালের দল বরিশাল। সাত ম্যাচে চার জয়ে আট পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তিন নম্বর আছে চিটাগং।
সর্বশেষ ম্যাচের মতো আজও ব্যাট হাতে বিবর্ণ থেকে যায় চিটাগং। টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই দিক হারানো দলটি আর ঠিক পথে ফিরতে পারেনি। দলটির আট জন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। উসমান খান, অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ও আরাফাত সানির ব্যাটে ৮ উইকেটে ১২১ রান তোলে চিটাগং। জবাবে জবাবে ম্যাচসেরা ডেভিড মালানের হাফ সেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ নবির ব্যাটে ১৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় চিটাগং।
লক্ষ্য তাড়ায় বরিশালের শুরুটা যদিও ভালো ছিল না। ৮ রান করেই ফিরে যান অধিনায়ক তামিম ইকবাল, রান করতে পারেননি তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিমরাও। ১১ রান করেন মুশফিক, হৃদয় করে এক রান। এ তিন জন ফিরে যান ৩২ রানের মধ্যেই। ৫০ পেরিয়ে থামেন ১৬ রান করা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। এরপর অবশ্য ধরকে আর চাপ বুঝতে দেননি ৪৪ বলে ৬৯ রানে অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়া মালান-নবি।
দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এ দুজন। কম সুযোগ পেয়ে হতাশার কথা জানানো মালান আজ নিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নেমে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ইংলিশ বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪১ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ২১ বলে ৩টি চারে হার না মানা ২৬ রান করেন নবি। চিটাগংয়ের খালেদ ২টি ও আরাফাত সানি একটি উইকেট নেন।
এর আগে চিটাগংয়ের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক মিঠুন। ডানহাতি উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ৩৪ বলে একটি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন। উসমান ১৩ বলে ১৯ ও আরাফাত সানি ৩৪ বলে ২৭ রান করেন। দুর্বার বোলিং করা বরিশালের পাকিস্তানি স্পিনার ফাহিম আশরাফ ৪ ওভারে ১২ রানে ৩টি উইকেট নেন। ৩ উইকেট নেন রিপন মন্ডলও, ৪ ওভারে তার খরচা ৩ রান। দারুণ বোলিং করা তানভীর ইসলাম ৪ ওভারে ১৪ রানে নেন ২ উইকেট।