ট্রাম্পের মার-এ-লাগোয় বেড়েছে ধনকুবেরদের ভিড়
৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আগামীকাল সোমবার শপথগ্রহণ করবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এর আগে থেকেই ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচে তার মার-এ-লাগো এস্টেটে আনাগোনা বেড়েছে ধনকুবেরসহ শীর্ষ ব্যবসায়ীদের। তাদের কয়েকজনের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন ট্রাম্প।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
জেটস্পাই এভিয়েশনের তথ্যের বরাত দিয়ে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনী ব্যক্তির ছয়জন ফ্লোরিডায় গিয়েছেন। ব্লুমবার্গ ট্রাম্পের ব্যক্তিগত পাম বিচ ক্লাবটি এখন 'ক্ষমতার নতুন কেন্দ্র' হিসেবে উল্লেখ করেছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, এই ধনকুবেরদের কেউ কেউ ট্রাম্পের পুরনো মিত্র, আবার কারো উদ্দেশ্য তার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করা বলে মনে হয়েছে।
ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়া ধনকুবেরদের মধ্যে আছেন মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। তার বিমান গত ২৬ নভেম্বর পাম বিচ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে এবং পরের দিন চলে যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মেটার পক্ষ থেকে বলা হয়, জাকারবার্গ 'নৈশভোজের আমন্ত্রণ' এবং ট্রাম্পের দলের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগের জন্য কৃতজ্ঞ।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসও গত ডিসেম্বরে ট্রাম্পের সঙ্গে মার-এ-লাগোতে বৈঠক করেছিলেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৈঠকে অ্যামাজন ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মাইক্রোসফটের সাবেক প্রধান নির্বাহী বিল গেটস গত ডিসেম্বরে শেষের দিকে পাম বিচে গিয়েছিলেন। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে তিন ঘণ্টার নৈশভোজে অংশ নেন। নির্বাচনের আগে অবশ্য বিল গেটস ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন।
জেটস্পাইয়ের তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনের দিন থেকে এ পর্যন্ত ইলন মাস্কের বিমান এক ডজনেরও বেশিবার পাম বিচে গিয়েছে। তথ্য বলছে, সে হিসাবে প্রত্যেকবার মিলিয়ে ওই এলাকায় তিন সপ্তাহ অবস্থান করেছেন মাস্ক।
সম্প্রতি আরও কয়েকজন ধনকুবেরের বিমানও পাম বিচ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে। যেমন, গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিন, ওরাকলের ল্যারি এলিসন, উবারের ট্র্যাভিস কালানিক, বিজনেস টাইকুন হাওয়ার্ড লুটনিক প্রমুখ।
অনুবাদ: রেদওয়ানুল হক