বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার যাবতীয় কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।
এ মামলার আসামি হোসাফ মিটারের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন ও অ্যাডভোকেট খন্দকার মারুফ হোসেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান। সরকার পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ শুনানি করেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে অ্যাডভোকেট আসিফ হাসান ও সরকার পক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ শুনানি করেন।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর এ মামলা থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলা সম্পর্কে আইনজীবীরা জানান, সব নিয়ম মেনেই বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে কয়লা আহরণে টেন্ডার কাজ সম্পন্ন করা হয়। শুধু রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে ওয়ান-ইলেভেন সরকার বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা করে।
তারা আরও জানান, পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে আদালতকে প্রভাবিত করে মামলা থেকে তার নাম প্রত্যাহার করিয়ে নেন। আর প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে আদালতকে ব্যবহার করতে থাকেন। যে কারণে দীর্ঘদিনেও মামলার অভিযোগ গঠন করতে পারেননি আদালত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। ওই বছরের ৫ অক্টোবর খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির।