উড়ছে চট্টগ্রাম
৯ উইকেটের দাপুটে জয়ে শুরু, এরপর শাসন করে চলেছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। মোহাম্মদ মিঠুনের দলের বিপক্ষে বাধার দেয়াল তুলতে পারছে না কেউই। সোমবার তামিম ইকবালের দল বরিশাল বুলসকে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে এটা তাদের টানা তৃতীয় জয়। মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহী ছাড়া সব দলের বিপক্ষেই জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম।
নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ১০ রানে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেটে ১৫১ রান তোলে চট্টগ্রাম। জবাবে জয়ের পথে থেকেও তামিম ইকবালের দলের ইনিংস শেষ হয় ১৪১ রানে। চট্টগ্রামের দুই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম আগুনে বোলিং করে দলকে দারুণ এক জয় উপহার দেন।
জয়ের লক্ষ্যে শুরুটা ভালো ছিল না বরিশালের। দলীয় ২৩ রানে বিদায় নেন এই টুর্নামেন্টে ব্যর্থতার বৃত্তে বন্দী হয়ে পড়া বরিশালের ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ। তার ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। পরের ব্যাটসম্যানরাও দলকে পথ দেখাতে পারেননি। অধিনায়ক তামিম সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন। এ ছাড়া পারভেজ হোসেন ইমন ১১, আফিফ হোসেন ২৪ ও তৌহিদ হৃদয় ১৭ রান করেন। চট্টগ্রামের মুস্তাফিজ ও ম্যাচসেরা শরিফুল ৩টি করে উইকেট নেন।
এরআগে ব্যাটিং করা চট্টগ্রামের শুরুও ছিল নড়বড়ে। আগের দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচে দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি চট্টগ্রামের দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকার। দলীয় ২২ রানে বিদায় নেন সৌম্য। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনকে সাবলীল মনে হলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, ১৭ রান করে থামেন তিনি।
আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া লিটন এ ম্যাচেও ছন্দময় ব্যাটিং করছিলেন। যদিও বেশি পথ পাড়ি দেওয়া হয়নি তার। ২৫ বলে ৪টি চারে ২৫ রান করে আউট হন ডানহাতি এই বাটসম্যান। ভালো শুরু করেন শামসুর রহমান শুভও। যদিও বাকিদের মতো তিনিও পারেননি। ২৮ বলে ২৬ রান করেন তিনি।
এরপর মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও সৈকত আলীর ব্যাটে চড়ে এগিয়েছে চট্টগ্রাম। মোসাদ্দেক ২৪ বলে একটি চারে ২৮ রান করেন। তবে সৈকত আলী ছিলেন খুনে মেজাজে। আবু জায়েদ রাহির করা ১৯তম ওভারে তিনটি ছক্কায় মারেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
১১ বলে একটি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৬ রান করেন সৈকত আলী। ফরচুন বরিশালের আবু জায়েদ সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন। এ ছাড়া সুমন খান, তাসকিন আহমেদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মেহেদী হাসান মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।