সাকিব-মাহমুদউল্লাহদের টানা দ্বিতীয় জয়
পথ হারিয়ে দিশা মিলছিল না। জয় দিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরু করা জেমকন খুলনা পরের দুই ম্যাচে হেরে যায়। চতুর্থ ম্যাচে এসে জয়ে ফেরা খুলনা পরের ম্যাচেও দাপট দেখালো। বুধবার তামিম ইকবালের দল ফরচুন বরিশালকে ৪৮ রানে হারিয়েছে খুলনা।
পাঁচ ম্যাচ খেলা মাহমুদউল্লাহর দলের এটা টানা দ্বিতীয় জয়। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো মাহমুদউল্লাহ-সাকিবদের দল। অন্যদিকে সমান ম্যাচ খেলে মাত্র একটি ম্যাচে জিতেছে তামিম ইকবালের দল। খুলনার বিপক্ষে হারে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে চলে গেছে দলটি।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে জেমকন খুলনা। শুরুটা ভালো না হলেও তা পুষিয়ে দেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা তরুণ উইকেটরক্ষকট ব্যাটসম্যান জাকির হাসান ও ইমরুল কায়েস। এই দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান তোলে মাহমুদউল্লাহর দল।
জবাবে দারুণ শুরুর পরও হঠাৎ-ই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে ফরচুন বরিশালের ইনিংস। ৩ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে তামিম ইকবালের দল আর জয়ের পথ খুঁজে পায়নি। ১৯.৫ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয়ে যায় ফরচুন বরিশাল।
লক্ষ্যটা বড়, এটা মাথায় রেখেই ব্যাটিং শুরু করেন তামিম ইকবাল ও পারভেজ হোসেন ইমন। তাদের ব্যাটে দারুণ সূচনা পায় বরিশাল। প্রথম ছয় ওভারে ৪৪ রানে তুলে ফেলেন তামিম-ইমন। কিন্তু ৫০ পেরিয়ে ভাঙে এই জুটি। দলীয় ৫৭ রানে বিদায় নেন ইমন। তরুণ বাঁহাতি এই ওপেনার ২৬ বলে ১৯ রান করেন।
প্রথম উইকেট পতনই যেন কাল হয়ে দাঁড়ায় বরিশালের জন্য। ৩ রানের ব্যবধানে ফিরে যান তামিম ইকবাল ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তামিম ২১ বলে ৪টি চার ও একটি ছকক্কায় ৩১ রান করেন। এই ছন্দপতন আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি দলটি। পরের ব্যাটসম্যানরা চেষ্টা করেও দলের জন্য কিছু করতে পারেননি। তেীহিদ হৃদয় ৩৩, ইরফান শুক্কুর ১৬ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ১০ রান করেন। খুলনার শুভাগত হোম, শহিদুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ ২টি করে উইকেট নেন।
এরআগে ব্যাটিং করা খুলনার শুরুটা ভালো ছিল না। যদিও দলকে কোনো চাপই বুঝতে দেননি জাকির হাসান ও ইমরুল কায়েস। সাকিব আল হাসানকে সরিয়ে ইনিংস উদ্বোধন করতে পাঠানো জাকির হাসান ব্যাট হাতে দাপট দেখিয়েছেন। ইমরুলও বেশ সাবলীল ছিলেন।
এই দুই ব্যাটসম্যান ৯০ রানের জুটি গড়েন। এর মধ্যে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন ম্যাচসেরা জাকির। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৪২ বলে ১০টি চারে ৬৩ রান করে আউট হন। এর কিছুক্ষণ পর সাজঘরে ফেরা ইমরুল ৩৪ বলে ২টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ রান করেন।
আগের চার ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব আল হাসান। বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার ১০ বলে ২টি চারে ১৪ রান করেন। তবে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ছোট্ট ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ১৪ বলে ৪টি চারে ২৪ রান করেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার। মূলত চারজন ব্যাটসম্যানের রানে ১৭৩ রানে পৌঁছায় খুলনা। বরিশালের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি ৩টি তাসকিন ২টি ও তানভীর ইসলাম একটি উইকেট নেন।