নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর চাপ বেড়েছে সৌদির ফ্লাইটে
সৌদি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে দেশটি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় দেশটিতে অভিবাসী শ্রমিক এবং বিদেশে থাকা দেশটির নাগরিকদের মধ্যে বিপুল সাড়া পড়েছে। গত রোববার (৪ জানুরারি) নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণার পর থেকে এসব ব্যক্তি সৌদি ফিরতে উন্মুখ হয়ে উঠেছেন। ফলে তাদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করছে বিমান পরিবহন সংস্থার বুকিং সাইটগুলো।
যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশে ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রামক করোনাভাইরাসের নতুন বংশজ ধরা পড়ার পর থেকে জল, স্থল এবং আকাশপথে দেশটিতে প্রবেশ দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত রেখেছিল সৌদি কর্তৃপক্ষ।
রোববার সকাল ১১টায় তুলে নেওয়া হয় এই নিষেধাজ্ঞা। তবে যেসব দেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরনটি শনাক্ত করা হয়েছে, সেসব দেশ থেকে আসা ভিনদেশি নাগরিকদের ওইসব আক্রান্ত দেশগুলোর বাইরে অন্তত ১৪ দিন থেকে তারপর সৌদিতে এসে পিসিআর টেস্ট করতে বলা হয়েছে। দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পেতে হলে এটাই প্রধান শর্ত।
অনেক অধিবাসী এখনো বিদেশে আটকা পড়েছেন। কিন্তু, ফ্লাইট সংকট তাদের সৌদি ফেরার চেষ্টায় দীর্ঘসূত্রিতা সৃষ্টি করছে।
নাসির জাওয়াদ একজন বেসরকারি কর্মী, গত বছরের শুরুতে ভারতে তার পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য তিনি সৌদি ত্যাগ করেন এবং তারপর থেকে তিনি আর ফিরে আসতে পারেননি। তিনি এখন দুবাইয়ে আটকে আছেন। তিনি জানান, "প্রথমে আমি ভারতে গিয়ে ১০ মাস ধরে পুনরায় ফ্লাইট চালু হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম। এবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছে ১৪ দিনের কোয়ারান্টাইন থাকার পর, সৌদি আরবের ফ্লাইট আবার বাতিল করা হল।"
জাওয়াদ জানান যে, অন্য অনেকের মতো তিনিও ফ্লাইটের টিকেট পুনরায় ইস্যু করার চেষ্টা করছেন। সৌদি আরবের একদম প্রথমদিককার ফ্লাইট ছিল ১৬ দিনের মধ্যে। কায়িক শ্রমে নিয়োজিত কর্মীদের সমস্যার জন্য এটি সমস্যা তৈরি করে। কারণ, তারা আর্থিক সঙ্গতির কারণে তৃতীয় কোনো দেশে এসে নিজ খরচায় হোটেলে থাকার সামর্থ্য রাখেন না।
- সূত্র: আরব নিউজ