ফাইজার টিকা: ১৮ জানুয়ারির আগেই কোভ্যাক্সকে সিদ্ধান্ত জানাবে ঢাকা
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা এবং গ্যাভির কোভ্যাক্স উদ্যোগের সহায়তায় ফাইজার/ বায়োএনটেক আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ টিকা সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। এব্যাপারে কোভ্যাক্সের দেওয়া চিঠির জবাব আগামী ১৮ জানুয়ারির আগেই দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং গবেষণা ইনস্টিটিউড (আইইডিসিআর) এর দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
গত ৬ জানুয়ারি কোভ্যাক্স বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে চিঠিটি দেয়। সেখানে সরকার ফাইজারের টিকার চালান পেতে ইচ্ছুক কিনা- তা জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। জানা গেছে, ১৮ জানুয়ারি নাগাদ চিঠির উত্তরে বাংলাদেশকে সিদ্ধান্তের কথা জানাতে হবে।
জাতীয় টিকা বিতরণ ও প্রস্তুতি কমিটির সদস্য ডা. এম মুশতাক হোসেন- দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান, ফাইজারের টিকা হিমাঙ্কের ৬০ ডিগ্রী সেলসিয়াস নিচের তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।
একারণেই, টিকাটি সংরক্ষণ এবং বিতরণের কাজ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, বলে তিনি উল্লেখ করেন।
"টিকাটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিবহনে উপযুক্ত হিমচক্র ব্যবস্থা তৈরির প্রস্তুতি চলছে। ফাইজার ভ্যাকসিনে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা জানিয়ে কোভ্যাক্স'কে দেওয়া জবাবি চিঠিতে এসংক্রান্ত প্রস্তুতির ব্যাপারে তথ্য যুক্ত করা হবে," তিনি বলছিলেন।
হিমচক্র ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যার কারণে টিকার ডোজগুলো শুধু ঢাকাতেই সংরক্ষণ করা হবে, বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে আইইডিসিআর- এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর টিবিএস'কে বলেন, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকাপ্রাপ্তির এ সুযোগ বাংলাদেশ হাতছাড়া করবে না।
এর সাহায্যে প্রাথমিকভাবে মোট জনসংখ্যার দশমিক ৪ শতাংশকে টিকাদান করা হবে।
এপর্যন্ত আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ টীকার মধ্যে কেবল ফাইজার/ বায়োএনটেক উদ্ভাবিত টিকাকেই স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গত ১ জানুয়ারি এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
তার আগে গত বছরের ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন জরুরি ব্যবহারের জন্য একে অনুমোদন দেয়।
ফাইজার/ বায়োএনটেক টিকা করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ৯৫ শতাংস সফল বলে ট্রায়ালে প্রমাণিত হয়েছে।