দেশের এক নম্বর বিজনেস ডেইলি হয়ে ওঠার যাত্রা
মহামারির কারণে গত বছরটা প্রায় সবার জন্যই ছিলো বেশ কঠিন সময়ের এক যাত্রা। সংবাদপত্র শিল্পে সদ্য নাম লেখানো আমাদের জন্য ছিলো আরও কঠিন।
দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড যখন যাত্রা শুরু করলো, এটি নিয়ে আমরা সবাই অনেক বেশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলাম। নিজেদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম আমরা। আমরা জানতাম, অন্যদের চেয়ে আলাদা পথেই হাঁটছি আমরা।
তবে মহামারিরূপে একটি দুর্যোগ এসে সবকিছু যে এভাবে এলোমেলো করে দেবে সেটি অন্যরা যেমন বুঝতে পারেনি, তেমনি দূরতম ধারণায় আসেনি আমাদেরও। আমাদের এই যাত্রা আরও আগে শুরু হলেও, নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এই পথ কখনো মসৃণ হতো না।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম শিল্পে কোভিড-১৯ এর ধাক্কা ছিলো বেশ কঠিন। আমাদের জন্য তা আরও কঠিন হয়ে ওঠে, কারণ প্রতিযোগিতার এই বাজারে আমরা একেবারেই নতুন। তখন পর্যন্ত আমাদের নামও অনেকে শোনেনি। পত্রিকার বিপণনের জন্য কোনো সময়ও আমরা পাইনি। অচিন্তনীয় এক চ্যালেঞ্জ তখন অপেক্ষা করছিল আমাদের সামনে।
তবে সব কিছুর পরও উদ্ভাবনী ভাবনাগুলো নিয়ে আমরা ছিলাম দারুণ সংকল্পবদ্ধ। দুঃসময়কে দু'হাতে সরিয়ে দিয়ে ভিন্ন কিছু করার তাড়না আমাদের মধ্যে ছিলো সবসময়। আমরা বিশ্বাস করতাম, ভালো কিছু করলে স্বীকৃতি সে পথ ধরেই এগিয়ে আসবে।
মহামারীর আঘাতের মধ্যেও আমরা অটুট ছিলাম, নিজেদের লক্ষ্যে ছিলাম অবিচল। এই সময়ের মধ্যে আমরা অসাধারণ সাংবাদিকতার স্বাক্ষর রেখেছি, বিশেষত অর্থ-বাণিজ্য সংক্রান্ত সাংবাদিকতায়। বেশ কিছু আলোচিত দুর্নীতির ঘটনা উন্মোচন করেছি আমরা। আমাদের সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে ব্যবসায় নৈতিকতার মূল্য তুলে ধরেছি আমরা। সাংবাদিকতায় অন্য যে কারো চেয়ে বেশি কোভিড-১৯ সম্পর্কিত নানা খুঁটিনাটি তুলে ধরেছি আমরা।
আমরা আজ দেশের শীর্ষ ব্যবসা সংক্রান্ত সংবাদপত্র হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছি। ধন্যবাদ আমাদের পাঠক, শুভাকাঙ্ক্ষী ও দলের সদস্যদের। দেশের সব ইংরেজি সংবাদপত্রের মধ্যে হয়তো আমরা দ্বিতীয় স্থানে আছি, তবে গুণগত মানের দিক থেকে আমরা অতুলনীয়।
এবং এ সবকিছুই আমাদের এক বছরের অর্জন। গণমাধ্যমের বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি নিঃসন্দেহে অনন্য এক কীর্তি।
তাই আমরা আজ আমাদের আনন্দ ও গর্ব আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি। একই সাথে কথা দিচ্ছি, আমরা সামনের বছর ডিজিটাল ও প্রিন্ট- উভয় মাধ্যমে আরও আকর্ষণীয় কন্টেন্ট নিয়ে হাজির হবো।
-
ইনাম আহমেদ, সম্পাদক, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড
- মূল লেখা: A journey to become the country's number one business newspaper
- অনুবাদ: রাফিয়া তামান্না