৪৩তম বিসিএস আবেদনের সময় দুই মাস বাড়ানো হলো
৪৩তম বিসিএস আবেদনের সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। আবেদনের সময় ৩১ জানুয়ারির পরিবর্তে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগ্রহীরা ৩১ মার্চ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
গতকাল বুধবার (২৭ জানুয়ারি) পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ইশরাত শারমীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন বলে জানায় দৈনিক প্রথম আলো।
এর আগে আসন্ন ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনকে (পিএসসি) চিঠি লেখে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
পিএসসি চেয়ারম্যান বরাবর ইউজিসি'র পক্ষে কমিশনের সচিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র জমাদানের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।
সেখানে উল্লেখ করা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে ১৩ ডিসেম্বর ইউজিসি চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উপাচার্যদের সঙ্গে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্বাস্থ্যবিধি মেনে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিসিএস পরীক্ষার আবেদনের সময় বৃদ্ধির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে উপাচার্যরা কমিশনকে পদক্ষেপ নেওয়ারও অনুরোধ জানান ওই সভায়।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে ১ হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে ৩০০ জন, পুলিশ ক্যাডারে ১০০ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারের জন্য ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।
৪৩ তম বিসিএসের অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর শুরু হয়।
৪৩ তম বিসিএস অনলাইন আবেদন ফর্ম, পরীক্ষার সিলেবাস এবং প্রবেশপত্র সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য বিপিএসসি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে www.bpsc.teletalk.com.bd.
পিএসসি আরও উল্লেখ করেছে যে, আবেদনকারীদের অনলাইনে ফরম পূরণের ৭২ ঘন্টার মধ্যে পরীক্ষার ফী দিতে হবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীকে ২০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় ২ ঘণ্টা। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় ২০০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ১ নম্বর পাবেন। তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য প্রাপ্ত মোট নম্বর থেকে দশমিক ৫০ (শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য) নম্বর কাটা যাবে। প্রিলিমিনারির বিষয়ভিত্তিক সিলেবাস পিএসসির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার বিষয় ও নম্বর বণ্টন
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য ৩৫, বাংলাদেশ বিষয়াবলি ৩০, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ২০, ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব) ১০, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ১০, সাধারণ বিজ্ঞান ১৫, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ১৫, গাণিতিক যুক্তি ১০, মানসিক দক্ষতা ১০, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন ১০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা হবে।
পরীক্ষাকেন্দ্র
প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।