দেশের ৬২টি পৌরসভায় চলছে তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ
তৃতীয় ধাপে দেশের ৬২টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
যে ৬২টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে সেগুলো হলো- দিনাজপুরের হাকিমপুর, নীলফামারীর জলঢাকা, কুড়িগ্রামের উলিপুর, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ, বগুড়ার ধুনট, শিবগঞ্জ, গাবতলী, কাহালু ও নন্দীগ্রাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর, নওগাঁর সদর ও ধামইরহাট, রাজশাহীর মুন্ডুমালা ও কেশরহাট, নাটোরের সিংড়া, পাবনা সদর, চুয়াডাঙ্গার সদর ও দর্শনা, ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু ও কোটচাঁদপুর, যশোরের মনিরামপুর, নড়াইলের সদর ও কালিয়া, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ, খুলনার পাইকগাছা, সাতক্ষীরার কলারোয়া, বরগুনার সদর ও পাথরঘাটা, ভোলার বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান, বরিশালের গৌরনদী ও মেহেন্দিগঞ্জ, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের স্বরূপকাঠী, টাঙ্গাইলের সদর, মির্জাপুর, ভূঞাপুর, সখিপুর ও মধুপুর, জামালপুরের সরিষাবাড়ী, শেরপুরের নকলা ও নালিতাবাড়ী, ময়মনসিংহের ভালুকা, গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ, নেত্রকোনার দূর্গাপুর, কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী, মুন্সীগঞ্জের সদর, রাজবাড়ীর পাংশা, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া, শরীয়তপুরের নড়িয়া, ভেদরগঞ্জ ও জাজিরা, সিলেটের গোলাপগঞ্জ ও জকিগঞ্জ, মৌলভীবাজারের সদর, কুমিল্লার বরুড়া ও চৌদ্দগ্রাম, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফেনীর সদর, নোয়াখালীর হাতিয়া ও চৌমুহনী এবং লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ।
বিক্ষিপ্ত কিছু সহিংসতা এবং ভোট বর্জনের ঘটনার মধ্য দিয়ে এ ধাপে সবগুলো পৌরসভায় ভোটগ্রহণ চলছে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে।
নোয়াখালীর চৌমুহনী ও হাতিয়া পৌরসভায় নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি
নোয়াখালীর প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র চৌমুহনী ও বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া পৌরসভার ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল থেকে কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। প্রতিটি সারিতে পুরুষদের তুলনায় নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে পড়েন। গত বৃহস্পতিবার শেষ হয় প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা। চৌমুহনী পৌরসভা মেয়র পদে ৪ জন, ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ৩৬ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল, বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সভাপতি জহির উদ্দিন হারুন, স্বতন্ত্র মোবাইল প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরন এমপির বড় ভাই খালেদ সাইফুল্লাহ্ (এম.কম) ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন মনোনীত হাত পাখা প্রতীকের প্রার্থী মো. জাকের হোসেন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভাটিতে ২০টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ৫৪ হাজার ২৫৪ জন, যার মধ্যে পুরুষ ২৮ হাজার ৫১৩ ও মহিলা ২৫ হাজার ৭৪১ জন।
অন্যদিকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ১৩টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। পৌরসভাটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২হাজার ৩৯৮জন। যার মধ্যে মহিলা ১৫হাজার ৬৪৫জন ও ১৬হাজার ৭৫৩জন পুরুষ ভোটার রয়েছে। মেয়র পদে আ.লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে কে এম ওবায়দুল্লাহ ও বিএনপি মনোনীত ধানেরশীষ প্রতীকে কাজী আব্দুর রহিম, সাধারন কাউন্সিলর পদে ৪০ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৮জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জে নানা অভিযোগ তুলে বিএনপির ভোট বর্জন
বগুড়া শিবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী (ধানের শীষ) মতিয়ার রহমান মতিন।
শনিবার নির্বাচন চলাকালীন শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে বেলা ১২ টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, 'সকালে ধানের শীষের এজেন্টদের জোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকজন। ভোটাররা ভোট দেয়ার আগেই বেলা ১১ টার মধ্যে ৬টি ভোট কেন্দ্রের ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। সবগুলো ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের লোকজন সবুজ টুপি পড়ে কেন্দ্র দখল করে রেখেছেন।'
মতিয়ার রহমান সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন, 'অনিয়মের বিষয়গুলো আমি বারবার প্রশাসনকে অভিযোগ করেছি। কিন্তু প্রশাসন নীরব থেকেছে বরাবরই। কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ভোটের দিনও প্রশাসন নীরব ছিল। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ম্যাজিস্ট্রেটও ছিল না বললেই চলে। মোট কথা সব মিলিয়ে আওয়ামী লীগ এখানে ভোট ডাকাতি করেছে। এ কারণে আমি ভোট বর্জন করেছি।'
তবে কেন্দ্র দখল কিংবা অনিয়মের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন শিবগঞ্জ থানার ওসি এসএম বদিউজ্জামান। তিনি বলেন, 'আমার শিবগঞ্জের ১১ টা কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে। এখানে কেন্দ্র দখল, জাল ভোটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। সবুজ টুপি পড়ে কেন্দ্র দখলের কোনো ঘটনায় ঘটেনি।'
জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, 'বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ভোট বর্জনের কথা শুনেছি। কেন্দ্র দখলের কোনো ঘটনা ঘটেনি। প্রশাসন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভিত্তিহীন। সুষ্ঠু ভোট হচ্ছে।'
কলারোয়া পৌরসভাতে কেন্দ্রে শুধু নৌকার এজেন্ট
সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনের কেন্দ্রে রয়েছে শুধু নৌকার এজেন্ট। বিএনপির প্রার্থীর এজেন্টদের মারপিট করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা দিচ্ছে পুলিশ।
কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী (ধানের শীষ) শেখ শরিফুজ্জামান তুহিন জানান, 'আমি প্রার্থী অথচ আমাকে কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে মারপিট করে। প্রতিটি কেন্দ্রের এজেন্টদের মারপিট করে বের করে দিয়েছে। সাংবাদিকদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। প্রহসনের নির্বাচন হচ্ছে'।
তিনি বলেন, 'সকাল ৯টার আগেই প্রতিটি কেন্দ্রের ব্যালটে সিল মারা শেষ করে ফেলেছে। পৌরসভার ভোটার নয় এমন নারী-পুরুষদের এনে ভোটকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। ভিতরে প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় পুলিশ ভোট কেটে বাক্স ভরছে। কোন আইনী সহায়তা আমি পাইনি'।
সকাল ১০টায় বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে বিএনপির প্রার্থী শরিফুজ্জামান তুহিন ভোট বর্জনের ঘোষনা দেন। তিনি বলেন, 'এই সরকারের অধীনে কোন সুষ্ঠ ভোট হতে পারে না। এটি নির্বাচন নয় তামাশা'।
বিএনপি প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ফরহাদ হোসেন জানান, 'আমাকে কোন কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। মারপিট করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে'।
পৌরসভার মুরালীকাটি গ্রামের আবুল খায়ের জানান, 'আমি ভোট দিতে গেলে আমাকে বের করে দিয়েছে। ভোট দিতে দেয়নি'।
এদিকে, পৌরসভার গোপিনাথপুর ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্র শত শত নারী পুরুষদের উপস্থিতি দেখা যায়। তবে কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও নিতে বাঁধা দেন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
ইন্ডিপেনডেন্ট টিভির ক্যামেরাপার্সন পলাশকে গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সাংবাদিক পলাশ জানান, 'কেন্দ্রের ভিডিও নিতে গেলে পুলিশ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বাঁধা দেয়। গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। ঘটনাটি আমি পুলিশ সুপারকে জানিয়েছি'।
গোপিনাথপুর ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত ম্যাজিষ্ট্রেট ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, 'কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
মেয়র পদের ব্যালট নেই, স্বতন্ত্রপ্রার্থীর ভোট বর্জন
সাতক্ষীরার কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষনা দিয়েছেন বিএনপির স্বতন্ত্র প্রাথী নারগিস সুলতানাও। শনিবার বেলা একটার সময় তিনি নির্বাচনী কার্যালয়ে ভোট বর্জনের ঘোষনা দেন।
কলারোয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্তারুল ইসলামের স্ত্রী নারগিস সুলতানা জানান, 'কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। জোর পূর্বক নৌকায় ভোট দেওয়া হচ্ছে। মেয়র পদে ভোটারদের কোন ব্যালট দেওয়া হচ্ছে না। এটি নির্বাচন নয় তামাশা। ভোটারদের সঙ্গে এমন তামাশা সরকার না করলেও পারতো'।
তিনি বলেন, 'সরকারি দল ও পুলিশ জোরপূর্বক কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীকে সিল মারছে। দেশে ভোটাধিকার নেই। প্রহসনের এই নির্বাচন মানি না। আমি নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিচ্ছি'।
পৌরসভার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। তবে অনেক ভোটারদের অভিযোগ বুথে শুধুমাত্র সংরক্ষিত নারী প্রার্থীর ব্যালট ও কাউন্সিলর প্রার্থীর ব্যালট দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পৌরসভা নির্বাচন ৭ নং মুরালীকাটি ওয়ার্ডে ভিডিও ধারণ করলে সাংবাদিক আকরামুল ইসলামের মোবাইল ফোন কেড়ে নেন দায়িত্বরত ম্যাজিষ্ট্রেট। পরবর্তীতে ধারণকৃত ভিডিও মুছে দিয়ে মোবাইল ফোন ফেরৎ দেওয়া হয়।
তবে প্রার্থীদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে কেন্দ্রে থাকা দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তারা দাবি করেন, ভোট সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে।
বাগেরহাটে নাতীর কোলে এসে ভোট দিলেন ১০৪ বছর বয়সী ফাতেমা
বয়সের ভারে নতজানু। শরীরের শক্তিও শেষ প্রায়। নিজ পায়ে দাঁড়াতে পারলেও হাঁটতে হয় নাতী-নাতনির সহায়তায়। চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া বাড়ি থেকে বের হন না প্রায় দশ বছর হল। তারপরও ভোট দিতে হবে ১০৪ বছর বয়সী ফাতেমা বেগমের। দাদীর এমন বায়নায় কিছু বিরক্ত হলেও বৃদ্ধ দাদীকে খুশি রাখতে কোলে করে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসেন ৩৮ বছর বয়সী নাতী মোঃ কামাল শেখ।
শনিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর দুইটায় মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড পশ্চিম সানকিভাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন ওই কেন্দ্রের সব থেকে বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটার। ভোট দিয়ে বের হয়ে তৃপ্তির হাসি হাসেন এই বৃদ্ধ। এত কষ্ট করে কেন ভোট দিতে এসেছেন এমন প্রশ্নে ফিসফিস করে বলেন, 'ভোট দিতে আমার ভাল লাগে। কখন মারা যাব তা তো বলা যায় না। তাই ভোট সামনে আসছে ভোট দিয়ে গেলাম'।
ফাতেমা সানকিভাংগা এলাকার আয়জদ্দিন শেখের স্ত্রী। ভোটার তালিকা অনুযায়ী, ১৯১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর এই বৃদ্ধার জন্ম। সে অনুযায়ী একশ চার বছর বয়স হয় ফাতেমার। তবে স্থানীয় ও তার স্বজনদের দাবি ফাতেমার বয়স ১১৫ বছর। ৬ ছেলে ও দুই মেয়ের জননী এই নারীর ৪০ জনের মত নাতী-নাতনী রয়েছেন।
স্থানীয় ৬০ বছর বয়সী আবুবকর সিদ্দিক বলেন, 'আমরা বোঝার পর থেকেই দেখি ফাতেমা বেগম বৃদ্ধ। তার বড় ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য নুর মোহাম্মাদের বয়সও প্রায় ৯০ এর কাছাকাছি। এলাকার সব থেকে বয়সী মানুষ হিসেবে ফাতেমাকে সবাই ভালবাসে এবং শ্রদ্ধা করে। আমরা তার সুস্থতা কামনা করি'।
ফাতেমার নাতী মোঃ কামাল শেখ বলেন, 'আমার চাচা ও ফুপুরা সবাই বৃদ্ধ হয়ে গেছে। দাদী অনেক দিন ধরে ঘরবন্দী। চোখে দেখলেও কানে কিছুটা কম শোনেন তিনি। তারপরও ভোটের কথা শুনে ভোট দেওয়ার ইচ্ছাপোষন করেন তিনি। আমরা নিরুৎসাহিত করলেও তিনি কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে জোরাজুরি করেন। পরে বাধ্য হয়ে দাদীকে খুশি রাখতে ভোট দেওয়াতে নিয়ে আসছি'।
মোরেলগঞ্জ পৌরসভায় শুধুমাত্র কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৯টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৩ জন এবং ৩টি সংরক্ষিত মাহিলা ওয়ার্ডে ১২জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। ৯টি কেন্দ্রে ১৬ হাজার ৫'শ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৮ হাজার ৮৬ জন পুরুষ এবং ৮ হাজার ৪শ ১৪ জন নারী ভোটার রয়েছেন।