পর্ন ভিডিও শুটের অভিযোগে গ্রেপ্তার ভারতীয় অভিনেত্রী
রমরমিয়ে চলছিল পর্নোগ্রাফির ব্যবসা। পর্ন ভিডিও শুট করে তা নিজের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন, এমনই অভিযোগ ভারতীয় অভিনেত্রী গহনা বশিষ্ঠের বিরুদ্ধে।
দেশটির মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন অল্ট বালাজির 'গন্ধি বাত'খ্যাত অভিনেত্রী গহনা। রোববার মুম্বাইের আদালতে পেশ করা হবে অভিযুক্ত নায়িকাকে, জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রপার্টি সেলের হাতে শনিবার গ্রেপ্তার হন গহনা বশিষ্ঠ। মুম্বই পুলিশ সূত্রে খবর, ৮৭টির বেশি পর্ন ফিল্ম শুটিং করে নিজের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছেন তিনি। তদন্তে জানা গেছে, অনান্য মডেল, প্রোডাকশন হাউসও গহনার তৈরি এই পর্নোগ্রাফিক ব়্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত।
মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তা জানান, গহনার ওয়েবসাইটে অ্যাডাল্ট কনটেন্ট দেখতে ২ হাজার টাকা সাবস্ক্রিপশন ফি দিতে হয়।
'মিস এশিয়া বিকিনি'র মুকুটজয়ী গহনা বেশ কয়েক বছর ধরেই কাজ করেছেন তামিল ও মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। তবে একতা কাপুরের অল্ট বালাজির আলোচিত ওয়েব সিরিজ 'গন্ধি বাত'-এর সুবাদেই সংবাদ শিরোনামে ওঠেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিনজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে এই পর্নোগ্রাফি চক্রের খোঁজ চালাচ্ছিল তারা। জোর করে পর্ন ছবিতে অভিনয় করতে বাধ্য করা হয়েছে, পুলিশের কাছে এমন অভিযোগ জমা পড়েছিল।
মালাডের গ্রিন পার্ক বাংলোতে হানা দিয়ে শনিবার পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইয়াসমিন বেগ খান ওরফে রোওয়া (প্রযোজনা ও পরিচালনা), প্রতিভা নালাওয়াড়ে (গ্রাফিক ডিজাইনার), মনু গোপাল দাস জোশি (অভিনেতা), ভানুসূর্যায়াম ঠাকুর (সহকারী) এবং মহম্মদ আসিফ (ক্যামেরাম্যান) নামের ওই পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর জেরায় উঠে আসে গহনার নাম।
ক্রাইম ব্রাঞ্চ প্রপার্টি সেলের সিনিয়র ইনসপেক্টর কেদারি পাওয়ার জানিয়েছেন, 'বিজ্ঞাপনের জন্য নতুন মুখ চাই'- এমন প্রলোভনের বিজ্ঞাপন দিয়ে পর্নোগ্রাফির ফাঁদ পেতেছে একটি চক্র, এ ধরনের খবর ছিল পুলিশের হাতে। ছবিতে কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পর্ন ছবিতে অভিনয়ে বাধ্য করত এই গ্যাং। টাকার প্রলোভনেও চুক্তি স্বাক্ষর করিয়ে চাপ দিয়ে অ্যাডাল্ট ছবিতে অভিনয়ে বাধ্য করা হতো।
এই ব়্যাকেটের হাত থেকে একজন নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ব়্যাকেটের সঙ্গে যুক্তদের তিনটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিজ করেছে। পর্ন ছবির সাবস্ক্রিপশন থেকে সংগৃহীত ৩৬ লাখ টাকাও রয়েছে ওই অ্যাকাউন্টগুলোতে।
এছাড়াও ছয়টি মোবাইল ফোন, একটি ক্যামেরা এবং প্রযোজনীয় সরঞ্জাম, ল্যাপটপ এবং নগদ টাকা হেফাজতে নিয়েছে মুম্বাই পুলিশ।
ভারতীয় দণ্ডবিধি ও আইটি আইনের উপযুক্ত ধারায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। সবাইকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ কাস্টডিতে পাঠিয়েছেন আদালত।