মুজিববর্ষে গৃহহীনদের বাসস্থান নির্মাণে আরও ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষে গৃহহীণদের জন্য গৃহনির্মাণ প্রকল্পে অতিরিক্ত ৫০ হাজার ঘর করে দেওয়ার জন্য, তিনি আরও ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'আমি আজ এই মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে আরো অতিরিক্ত ৫০ হাজার ঘর নির্মাণ করার জন্য ১ হাজার কোটি টাকা ছাড় করেছি। আমরা আরো এক লাখ ঘর তৈরি করে দিচ্ছি।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (সিসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র ও কউন্সিলরদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সূত্রমতে, ৮ লাখ পরিবারকে বাসস্থান নির্মাণ করে দেয়ার লক্ষ্যের আওতায়; ইতোমধ্যে ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর-বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আজ আরো এক লাখ পরিবারকে জমিসহ ঘর করে দেওয়ার জন্য এক হাজার কোটি টাকা ছাড় করা হলো।
তাঁর এই পদক্ষেপ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশে একটা মানুষও যাতে গৃহহীন না থাকে, সেজন্য আমরা একটি জরিপ করে দেখেছি।'
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং কাউন্সিলরদের শপথ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নিজ নিজ এলাকায় গৃহহীনদের তালিকা প্রণয়নের আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, 'এলাকায় দেখবেন কোন লোক গৃহহীণ আছে কিনা, আপনারা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেবেন, আমরা কিন্তু, ঘর করে দেব। একটি মানুষ গৃহহীণ থাকবেনা, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলবো ইনশাল্লাহ।'
এসময় জনপ্রতিনিধিদেরকে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার আহবান জানানোর পাশাপাশি; স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ভ্যাকসিন নিলেও মাস্ক পরে থাকতে হবে, হাত ধুতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। নিজের পাশাপাশি অন্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্যই এটা করতে হবে।'
নিয়ম অনুযায়ী চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর শপথ পড়ান প্রধানমন্ত্রী। এরপর কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
গত ২৭ জানুয়ারী চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (সিসিসি) নির্বাচনে নির্বাচিত চট্টলার মেয়র, ৫৫ জন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত ১৪ আসনের মহিলা কাউন্সিলরগণ এদিন শপথ গ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা নবনির্বাচিত মেয়র এবং কমিশনারদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, 'জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেশের মানুষের কল্যাণ করা, তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করা-এটাই যেন লক্ষ্য হয়।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই স্বাধীনতার সুফল যেন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পেতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আপনারা কাজ করবেন, এটাই প্রত্যাশা।'