কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়নের দাবি
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন, আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুসমর্থনসহ পাঁচটি দাবি জানিয়েছে গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশন নামে একটি সংগঠন।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ন্যাশনাল ওয়াকার্স ইউনিটি সেন্টার ও গ্রীণ বাংলা গার্মেন্টস ওয়াকার্স ফেডাশনের যৌথ উদ্যোগে 'কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানির প্রতিরোধে নারী সমাবেশ' শীর্ষক মানববন্ধন বক্তারা এ দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে শ্রমজীবি নারীদের প্রতি হয়রানি এবং নির্যাতন প্রতিদিনকার ঘটনা। কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা এবং হয়রানি শ্রমিককে আরো বেশী নাজুক করে ফেলে, বিশেষ করে যাদের সংঘবদ্ধ হওয়ার ও যৌথ দর কষাকষির সুযোগ কম, যেখানে শোভন কাজের সুযোগ নেই এবং যেখানে শ্রমিকরা কম মজুরি পায় কিংবা ন্যায় বিচার প্রাপ্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
সংগঠনটির সভাপতি সুলতানা বেগম বলেন, "আগামী ০৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে আমরা দেশের সকল কর্মক্ষেত্রে নারীদের জন্য ছুটির আহবান করছি। নারী দিবসেও কেন নারীরা কাজ করবে? কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানির ফলে শ্রমিকদের মধ্যে এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়, ফলে শ্রমিক কর্মস্পৃহা হারায়। অনেক ক্ষেত্রে শ্রমিক প্রতিশোধপরায়ণ হয় এবং যার ফলে উৎপাদনশীলতা হ্রাস পায়। যতদিন পর্যন্ত নারী তার কর্মক্ষেত্রে স্বাধীনতা না পাবে ততদিন আমাদের শৃঙ্খলের মধ্যে আটকে রাখার সমতুল্য।"
বক্তারা আরও বলেন, আইএলও এর ২০১৯ সালের মার্চ মাসের 'ব্লু' রিপোর্টে কর্মক্ষেত্রে হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধে সরকার, মালিক এবং শ্রমিক সংগঠন সমূহের বিভিন্ন দায়িতু এবং একই সাথে সরকার, মালিক এবং শ্রমিক প্রতিনিধি ডেলিগেশনে নারী-পুরুষ সমতা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়। তাই বাংলাদেশ সরকারকে কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে আইএলও কনভেনশন ১৯০ অনুস্বাক্ষর করার জোর দাবি জানান বক্তারা।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন; কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং মাতৃত্বকালীন ৬ মাসের ছুটি ঘোষণা।
সমাবেশে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস, যুগ সম্পাদক খাদিজা রহমান, সহ-সভাপতি সেলিনা হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দীন প্রমুখ।