ফসলি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান নয়: প্রধানমন্ত্রী
দুই ফসলি ও তিন ফসলি জমি নষ্ট করে কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। এ ব্যাপারে, ভূমি ব্যবহার নীতিমালা করছে সরকার বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সাত দিনব্যাপী পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউণ্ডেশন (পিকেএসএফ) উন্নয়ন মেলা-২০১৯ উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে অনেকেই বাহবা কুড়াতে চেয়েছিলেন। তবে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে কেউ কেউ বিশ্বব্যাপী সুনামও করেছিলেন। কিন্তু সেটি শুধু ছিল ব্যক্তিগত অর্জন।”
মূলত ক্ষুদ্র ঋণ দারিদ্র্য বিমোচন নয়, দারিদ্র্য লালন করে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গত ৪ দশকে প্রায় এক-চতুর্থাংশ কৃষি জমি হারিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭১-৭২ সাল থেকে ২০১০-১১ সাল পর্যন্ত ৪.৯ শতাংশ কৃষি জমি কমে গেছে, অর্থাৎ প্রতি বছরে কমেছে প্রায় .৫ শতাংশ করে।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে যত্র তত্র শিল্পকারখানা গড়ে তুলতে নিষেধ করেন প্রধানমন্ত্রী।
সরকারের প্রতিটি পদক্ষেপের লক্ষ্য টেকসই উন্নয়ন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্গাচাষীরা যেন বিনা জামানতে ঋণ পায় তা আমরা দিতে শুরু করি। সহজেই কৃষি সরঞ্জাম পেতে কৃষকদের কৃষি উপকরণ কার্ড দিয়েছি।’
এছাড়াও দেশের প্রবীণদের জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে পিকেএসএফ বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীদের উৎপাদিত পণ্যপ্রদর্শনী ও বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ মেলার আয়োজন করেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা চলবে।
দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে পিকেএসএফের সহযোগী সংস্থা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গবেষণা ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং সেবামূলক প্রতিষ্ঠানসহ মোট ১৩০টি প্রতিষ্ঠানের ১৯০টি স্টল এ মেলায় স্থান পাবে।
নিত্য ব্যবহার্য পণ্য থেকে শুরু করে প্রান্তিক ক্ষুদ্র উৎপাদকদের উৎপাদিত বিষমুক্ত কৃষিপণ্য, খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী, প্রসিদ্ধ ও সমাদৃত হাজারও পণ্যের সমাহার নিয়ে বসছে এই মেলা। মেলার নির্বাচিত শিল্পীদের পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ের শিল্পীদের অংশগ্রহণে প্রতি সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন থাকবে।