চট্টগ্রাম নগরীতে শুরু গণপরিবহন চলাচল, বাস ও যাত্রী উভয়ই কম
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউনের তৃতীয় দিন বুধবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে শুরু হয়েছে গণপরিবহন চলাচল। তবে রাস্তায় যাত্রী এবং গণপরিবহন দুটোরই উপস্থিতি অন্য স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তুলনামুলক কম দেখা গেছে। রাস্তায় নেই আগের মতো যানজট।
চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন রুটে ৪৫০ থেকে ৫০০ বাস-মিনিবাস চলাচল করে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে বুধবার সকাল থেকে নগরীতে বাস চলাচল করছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত সড়কে প্রায় ৩শ বাস চলাচল করেছে। লকডাউনের কারণে যাত্রী স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কম'।
চট্টগ্রাম নগরীর একে খান মোড়, জিইসি মোড়, চকবাজার, মুরাদপুর, লালখানবাজারসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দেখা গেছে আগের মতো গাড়িতে উঠতে যাত্রীদের হুড়োহুড়ি নেই। কিছু কিছু বাসে আসনসংখ্যাও ফাঁকা। টেম্পু, অটোরিকশা চালকরাও যাত্রীর জন্য অপেক্ষায় আছে।
বুধবার সকালে নগরীর একে খান গেইট এলাকা থেকে চট্টগ্রাম আদালত ভবন যাচ্ছিলেন প্রিয় দে। তিনি বলেন, 'স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রাস্তায় লোকজন কম। গাড়ীর সংখ্যাও কম। সিএনজি অটোরিকশা যোগে আগে যে পরিমাণ ভাড়া দিতাম আজও একই ভাড়া দিয়েছি। রাস্তায় চলাচলরত বাসসহ অন্যান্য যানবাহনের চালকদের মাস্ক পরতে দেখা গেছে'।
এদিকে গণপরিবহন চলাচল শুরু হওয়ায় ভোগান্তি কমেছে ইপিজেড, চট্টগ্রাম বন্দর, কাস্টমসে কর্মরত কর্মকর্তা-শ্রমিকদের। গত দুই দিন ধরে যানবাহন না থাকায় কখনো পায়ে হেঁটে অথবা রিকশাযোগে তাদের কর্মস্থলে যেতে এবং ফিরতে হয়েছে।
চট্টগ্রাম ইপিজেডে কর্মরত মিজানুর রহমান বলেন, 'গত দুইদিন গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ইপিজেড এর কর্মীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বুধবার সকালে রাস্তায় আগের চেয়ে বাস কম চলতে দেখা গেছে। বাসে ৫০ ভাগ আসন খালি রাখার নির্দেশনা আছে। কিন্তু বাস সংখ্যা বাড়েনি। বরং সড়কে আগের তুলনায় বাস এখনো কম'।
তাই গণপরিবহন চলাচল শুরু হলেও ইপিজেড কেন্দ্রিক যেসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব পরিবহন নেই সেসব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের এখনো দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
চট্টগ্রাম অটোরিকশা অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ বলেন, 'চট্টগ্রাম নগরীতে বিভিন্ন রুটে ২ হাজার টেম্পু এবং ১৩ হাজার অটোরিকশা চলাচল করে। বুধবার সড়কে প্রায় ৮০ ভাগ চলাচল করছে। সড়কে যাত্রী অনেক কম। চালকরা মালিক জমা, জ্বালানি খরচ তুলতে পারবে কিনা দুশ্চিন্তায় রয়েছে'।
তিনি আরো বলেন, 'সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি পরিচালনা করছে চালক ও সহযোগীরা। গত ক'দিন ধরে পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটে আছে পরিবহন শ্রমিকরা। এরপর পরিবহন চলাচল শুরু হলেও যাত্রী না থাকায় এই সংকট সহসা কাটছে না'।