বাড়ছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলসংখ্যা!
ক্রিকেট খেলুড়ে দেশের সংখ্যা একবারে কম না হলেও বিশ্বকাপে হাতে গোনা কয়েকটি দলকে অংশ নিতে দেখা যায়। অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা বাড়াতে চায় ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসসি), উদ্দেশ্য ক্রিকেটের বিশ্বায়ন। এ লক্ষ্যে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি; সীমিত ওভারের এই দুই বিশ্বকাপেই দলসংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবছে আইসিসি।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে মাত্র ১০টি দেশ অংশ নিয়ে থাকে, টি-টোয়েন্টিতে ১৬টি দল। ক্রিকেটকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে অংশগ্রহণকারী দেশের সংখ্যা বাড়িয়ে ১৪ দলের ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা ভাবছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আরও একটি বড় উদ্যোগ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে আইসিসি। অলিম্পিকে ক্রিকেট যুক্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে সংস্থাটি। এ ছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ নতুন নামে ফিরিয়ে আনার চিন্তা-ভাবনাও করছে আইসিসি। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো তাদের প্রতিবেদনে এমনই জানিয়েছে।
ক্রিকইনফোর খবর, আইসিসি প্রধান নির্বাহীদের সভায় বিশ্বকাপের দল বাড়ানো নিয়ে বিষদ আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত না হলেও বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে সবাই। এমন ভাবনায় আইসিসিকে সমর্থন দিচ্ছে প্রভাবশালী দেশগুলো। এ কারণে উদ্যোগটি বাস্তব রূপ নিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যদিও দ্রুতই এটা কার্যকর করার সুযোগ নেই আইসিসির। ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত সবকিছু ঠিক হয়ে আছে। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলেও ২০২৪ সালে গিয়ে ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হতে পারে।
বর্তমান লিগ অনুযায়ী প্রথম পর্ব খেলে মূল পর্বে কয়েকটি দলকে জায়গা করে নিতে হলেও ২০ দলের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তেমন হবে না। প্রাথমিক পর্ব থেকেই সবগুলো দল অংশগ্রহণ করবে। চার গ্রুপে থাকবে পাঁচটি করে দল।
টি-টেন ফরম্যাটকে বিবেচনা করে অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির পরিকল্পনা সাজাচ্ছে আইসিসি। প্রধান নির্বাহীদের সভায় এ বিষয়টি উত্থাপন করেন ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) প্রধান নির্বাহী টম হ্যারিসন।
ভারতের বিরোধীতার কারণে অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির পদক্ষেপ থেমে গিয়েছিল। তবে তারাও এখন আইসিসির সিদ্ধান্তকে মেনে নিচ্ছে। ২০২৮ অলিম্পিকে ক্রিকেটকে যুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে আইসিসি। যদিও ২০৩২ অলিম্পিককে লক্ষ্য বানিয়ে কাজ করে যাচ্ছে আইসিসি।