ভারতীয় রাজ্যসভায় পাস হলো নাগরিকত্ব বিল
ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হলো বহুল আলোচিত নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল।
বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদের উচ্চকক্ষে বিলটি উত্থাপনের পর তার পক্ষে বিপক্ষে ভোটাভোটি হয়।
ভোটাভুটিতে ১২৫ ভোট পড়ে বিলের পক্ষে। বিপক্ষে ভোট ১০৫টি। এ বার রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই এই বিল আইনে পরিণত হবে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
নাগরিকত্ব সংশোধনী এই বিল অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে যে অমুসলিমরা (হিন্দু, বৌদ্ধ, পার্সি, শিখ ও খ্রিস্টান) ধর্মীয় পীড়নের কারণে ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার।
সোমবার লোকসভায় পাশ হওয়ার পর আজ বুধবারই রাজ্যসভায় পেশ হয় এই বিল। এ নিয়ে সংসদে তুমুল বিতর্ক হয় ক্ষমতাসীন বিজেপি ও বিরোধী পক্ষের সাংসদের মধ্যে।
সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দাবি করেন, ‘‘লাখ লাখ মানুষের সঙ্গে ধর্মীয় প্রতারণা হয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে সেই সব শরণার্থীদের অধিকার দেওয়া হবে।’’
বিলের সমালোচনা করে বিরোধীদল কংগ্রেসের সাংসদ আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘এই বিল ‘ভারতের আত্মার উপরে আঘাত।’’
বিক্ষোভে উত্তাল আসামে কারফিউ জারি, ত্রিপুরায় সেনা মোতায়েন
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে আসাম ও ত্রিপুরা রাজ্যের রাস্তায় নেমে এসে বিক্ষোভের পর পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন হাজারো মানুষ।
বিক্ষোভের মধ্যেই আসামের গুয়াহাটিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
আসাম পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুকেশা আগারওয়াল বলেন, “গুয়াহাটিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। আমরা আর্মিকে ডেকে পাঠিয়েছি।”
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে।
এদিকে বিক্ষোভ দমনে ত্রিপুরাতে দুই কলাম সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আসামে মোতায়েনের অপেক্ষায় আছে আরও এক কলাম সেনাবাহিনী। প্রতি কলামে ৭০ জন সেনা সদস্য থাকেন।
বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে আসামের ১০ জেলায় মোবাইল সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গুয়াহাটিতে সচিবালয়ের সামনে রাজ্যে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভরত ছাত্ররা।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শূন্যে গুলি ছোঁড়ে পুলিশ, এছাড়াও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়।
বিক্ষোভরতরা জানিয়েছেন, সচিবালয়ের সামনে পুলিশের পদক্ষেপে আহত হন বহু বিক্ষোভকারী। আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় ব্যবহার করা হয় জল কামান।