রাজাকারের তালিকা স্থগিত
দেশজুড়ে প্রবল প্রতিবাদ ও সমালোচনার মুখে অবশেষে রাজাকারের তালিকা স্থগিত করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে সংশোধিত তালিকা আগামী ২৬ মার্চ প্রকাশ করা হবে। মাঝের এই সময়ে চলবে যাচাই-বাছাই।
এমনটিই জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। বুধবার বিকেলে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়' শীর্ষক তথ্যচিত্র নির্মাণের মহরত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরও জানান, তালিকাটি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই তালিকাটি একটি পেনড্রাইভে করে দেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের যেভাবে পেনড্রাইভটি দেওয়া হয়েছিল, সেভাবেই আমরা পেনড্রাইভ থেকে তালিকাটি প্রকাশ করি।
মোজাম্মেল হক জানান, তালিকাটি প্রকাশের পর নানা মহলে আলোচনা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি নির্দেশ দেন তালিকাটি স্থগিত করে যাচাই-বাছাই করে তারপর প্রকাশ করার। এখন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা এরকম তালিকা তৈরি করেছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এর আগে সকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেছেন, যাচাই-বাছাই করে রাজাকারের তালিকায় আসা মুক্তিযোদ্ধাদের নাম বাদ দেওয়া হবে। এজন্য কোনো আবেদন করতে হবে না।
তবে মঙ্গলবার স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকায় সরকারি গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার নাম আসায় দুঃখ প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। তিনি বলেন, ব্যাপকভাবে অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রকাশিত ওই তালিকা প্রত্যাহার করা হবে। আর ‘দুই-একশ’ নামে ভুল হলে সংশোধন করা হবে। তবে ওই ভুলের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায় অস্বীকার করে মোজাম্মেল হক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তালিকা হুবুহু তারা প্রকাশ করেছেন, কোনো পরিবর্তন করা হয়নি।
রাজাকারের নামের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার নাম আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি সোমবার বলেছিলেন, প্রথমত এই ব্যপারে আমি কিছুই জানি না। এর কারণ হলো এই তালিকাটি ১৯৭১ সালের করা। আমি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করেছি।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তালিকা যাচাই-বাছাই না করেই প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আমাদের দেয়া নোটও আমলে নেয়া হয়নি। তবে তালিকায় যাদের নাম এসেছে তাদের নামে দালাল আইনে মামলা রয়েছে।