সাকিবের সংবাদ সম্মেলনে থাকবেন না সাকিব নিজেই!
সাকিব আল হাসান শাস্তি পাওয়ার রাতেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বরাবর চিঠি পাঠায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আর্থিক জরিমানা বহাল রেখে সাকিবের তিন ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করে ক্লাবটি। এতোটুকুতেই ক্লাবটির কার্যক্রম থেমে থাকছে না।
সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে মোহামেডান। যেখানে নিজের অবস্থান জানাতে মোহামেডান অধিনায়ক সাকিব উপস্থিত থাকবেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ক্লাবটি। সোমবার মোহামেডান ক্লাবের প্যাভিলিয়নে বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন শুরুর করার কথা ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার শাস্তি পাওয়া সাকিবের।
রোববার দুপুরে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মোহামেডান ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, আবাহনী লিমিটেডের মধ্যকার খেলায় ঘটে যাওয়া অনাকাঙিক্ষত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এবং শাস্তিসহ অন্যান্য বিষয়ে সাকিব ব্যক্তিগত ও ক্লাবের মতামত প্রদান করবেন।
মোহামেডানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ভাষা বলছে, সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সাকিব কথা বলবেন। যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার উপস্থিত থাকবেন না। তার লিখিত বক্তব্য কেউ পড়ে শোনাবেন অথবা অনলাইনে নিজের বক্তব্য জানাবেন তিনি।
মোহামেডানের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানোর পর প্রশ্ন ওঠে, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা সাকিব কীভাবে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান বলেন, 'আমরা সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছি ক্লাবের প্যাভিলিয়নে। জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকায় সাকিব উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে তার লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনানো হবে। এরপর ভার্চুয়ালি তাকে যুক্ত করা হবে।'
শুক্রবার মিরপুরে অনুষ্ঠিত আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে মাঠে দায়িত্ব পালন করা দুই আম্পায়ার ইমরান পারভেজ ও মাহফুজুর রহমান এবং ম্যাচ রেফারি মোরশেদুল আলমের রিপোর্টের ভিত্তিতে সাকিবকে শাস্তি দেওয়া হয়। শাস্তি মেনে নেন সাকিব। তাহলে সংবাদ সম্মেলন কেন? মাসুদুজ্জামান বলেন, 'আমাদের খেলোয়াড় শাস্তি পেয়েছে। সেটা জানাতে সংবাদ সম্মেলন করা। এর বেশি কিছু নয়।'
শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচে খেলা চলাকালীন আম্পায়ারের সামনেই স্টাম্প তুলে আছাড় মারেন সাকিব। এরআগেই অবশ্য মেজাজ হারান মোহামেডান অধিনায়ক। একটি আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় তেড়ে যান সাকিব। লাথি মেরে ভেঙে দেন তিনি। আম্পায়ারের সঙ্গে অশালীন ভাষা ও অশোভন আচরণ করতে থাকেন তিনি। মাঠের বাইরে গিয়েও বিপক্ষ দলের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে বাক-বিতণ্ডায় জড়ান তিনি।