লাইবর পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক অর্থায়নের সুদহার নির্ধারণ
লন্ডন ইন্টারব্যাংক অফারড রেটের (লাইবর) পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে স্বল্পমেয়াদি বাণিজ্যিক অর্থায়নের সুদের হার নির্ধারণ বিষয়ে নীতিমালা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজার ব্যবস্থায় নতুন যে বেঞ্চমার্ক হবে তার সাথে ৩.৫ শতাংশ যোগ করে বার্ষিক ২.৫ শতাংশ ঝুঁকি প্রিমিয়াম যুক্ত করে ঋণের সুদহার নির্ধারণ হবে।
এই সুদহার আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সরকারি কোন প্রকল্পের ক্ষেত্রে নেওয়া বিদেশি ঋণের জন্য প্রযোজ্য নয়।
সোমবার (২১ জুন) এ বিষয়ে একটি সার্কুলার জারি করে সংশ্লিষ্ট সকল অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে অবহিত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি ডিপার্টমেন্ট।
যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিন্যান্সিয়াল কন্ডাক্ট অথরিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে বেঞ্চমার্ক হার হিসেবে লাইবরের প্রয়োগ ২০২১ সালের পর প্রত্যাহার করা হবে।
লাইবরের সূচক ঘোষনা সম্পূর্ণরূপে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে প্রত্যাহার করা হবে। তবে ২০২২ সালের পরবর্তীতে অর্থায়নের সুদ হার নির্ধারণে লাইবরে পরিবর্তে নতুন বেঞ্চমার্ক হার এর প্রয়োগ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
একই সাথে লাইবর প্রত্যাহারের পূর্বে লাইবর ভিত্তিতে গৃহীত সকল প্রকার অর্থায়নের সুদ নতুন বেঞ্চমার্ক রেটে স্থানান্তর করতে হবে।
লাইবর প্রত্যাহারকালীন সময়ের পূর্বে লাইবর ভিত্তিতে গৃহীত ঋণ বিদেশি ঋণদাতার সাথে সমঝোতার ভিত্তিতে মুদ্রা ভিত্তিক বেঞ্চমার্ক রেটে উক্ত ঋণ রূপান্তর করা যাবে।
নীতিমালায় লিবর রহিতকরণের সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হওয়ার পরবর্তী সময়ে লাইবর ভিত্তিক অর্থায়ন ব্যবস্থা থেকে অনুমোদিত ডিলার (এডি) ব্যাংককে বিরত থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান যে, অংশীজনদের সাথে দীর্ঘ সময় ব্যাপী আলোচানর মাধ্যমে লাইবর ব্যবস্থা প্রত্যাহারের পূর্বে এ বিষয়ক নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করেছে।