তুহিন হত্যা: বাবা-চাচাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন হত্যা মামলায় বাবা ও চাচাসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে দিরাই থানা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ পালের আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করা হয় বলে জানান দিরাই থানার ওসি কেএম নজরুল ইসলাম।
এতে তুহিনের বাবা আবদুল বাছির, চাচা নাসির উদ্দিন, আবদুল মছব্বির ও জমসেদ আলী এবং ১৭ বছর বয়সী চাচাতো ভাই সাহারুলকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে সাহারুলের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়া তার বিরুদ্ধে শিশু আদালতে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। অভিযুক্ত সকলেই কারাগারে রয়েছেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ অক্টোবর গভীর রাতে ঘুমন্ত শিশু তুহিনকে ঘরের বাইরে নিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর হত্যাকারীরা তুহিনের কান ও লিঙ্গ কেটে তার লাশ গাছে ঝুলিয়ে রাখে। তুহিনের পেটে বিদ্ধ দুটি ছুরিতে সালাতুল ও সোলেমান নাম লেখা ছিল, তারা তুহিনের বাবা ও চাচাদের প্রতিপক্ষ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তুহিনের চাচা নাছির ও চাচাতো ভাই সাহারুল স্বীকার নিজেরা হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
অভিযোগপত্র দেওয়ার পর দুপুরে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, পুলিশ চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার আড়াই মাসের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে। গ্রামে থাকা প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে তুহিনের পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। এ ঘটনায় তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন।
গত ১৪ অক্টোবর রাতে দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে শিশু তুহিনকে হত্যা করা হয়। গাছের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।