ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে আরিচা-পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়
সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আরিচা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ফেরিঘাট এলাকায় চাপ রয়েছে ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে অগ্রাধিকারভিত্তিতে এসব বাস ও ছোট গাড়িগুলোকে নৌরুট পারাপার করছে ঘাট কর্তৃপক্ষ।
বাস এবং ছোট গাড়িগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও সহযোগীরা। আধ ঘন্টার নৌরুট পারাপারের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। তবে জরুরী পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার স্বাভাবিক রেখেছে ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় শতাধিক ছোট গাড়ি, ৪০/৫০ টি যাত্রীবাহী বাস এবং ৫ শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারাপারের জন্য অপেক্ষামাণ ছিল। আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রীবাহী বাস অপেক্ষামাণ না থাকলেও ৩০/৪০ টি ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি এবং শতাধিক সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক নৌরুট পারাপারের জন্য অপেক্ষামাণ ছিল বলে জানান ঘাট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
ব্যস্ততম পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে চলাচল করছে ছোট বড় মিলে ১৬টি ফেরি। আর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে চলছে তিনটি ফেরি। বাস এবং ব্যক্তিগত ছোট গাড়ির চাপ বেশি থাকায় ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চালক ও সহযোগীদের।
তবে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ জেলার ৩৫ কিলোমিটার অংশে কোন যানজট বা সড়ক দুর্ঘটনা নেই বলে জানান গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম। মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশের টহল টিম কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশন আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম জিল্লুর রহমান বলেন, সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে বাস এবং ছোট গাড়ি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করা হচ্ছে। এজন্য সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক চালকদেরকে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তবে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ এখনো নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে বলে জানান তিনি।