‘আমি মানুষ’, বললেন সাকিব
'সাকিব আল হাসান কি মানুষ'- ম্যাচ চলাকালীন ধারাভাষ্যকারদের এভাবে অনেক সময়ই বলতে দেখা গেছে। মাঠের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের কারণে কখনও কখনও বাংলাদেশ অলরাউন্ডারকে অতিমানব মনে হতেই পারে কারও কাছে। মনে হতে পারে তিনি কি সত্যিই রক্তে-মাংসে গড়া মানুষ! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের পর সাকিবকেই প্রশ্নটি করা হলো। উত্তরে সাকিব জানালেন, তিনিও মানুষ।
ব্যাটে-বলে মাঠের পারফরম্যান্সের মতো মনোবল, মানসিকতায়ও অন্যদের চেয়ে আলাদা সাকিব। খারাপ সময়ে খেই না হারিয়ে অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যান বাংলাদেশের বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। অস্ট্রেলিয়া সিরিজই তার বড় প্রমাণ। চতুর্থ ম্যাচে বল হাতে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে অভিজ্ঞতা হয় সাকিবের।
এক ওভারে ৫ ছক্কা হজম করার পাশাপাশি ৪ ওভারে খরচা করেন ৫০ রান। টি-টোয়েন্টি যা তার সবচেয়ে খরুচে বোলিং। সেই সাকিবই শেষ ম্যাচে দেখা দেন অজিদের যমদূত হয়ে। ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান খরচ করে তুলে নেন ৪টি উইকেট। যা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তার সেরা বোলিং। বাজে পারফরম্যান্স যে তাকে আত্মবিশ্বাস থেকে টলাতে পারে না, সেটাই যেন আবার মনে করিয়ে দিলেন সাকিব।
এ কারণেই প্রশ্নটি যে কীভাবে পারেন সাকিব, তিনি সত্যিই মানুষ? এমন প্রশ্নে মুচকি হেসে সাকিব বলেন, 'অবশ্যই আমি মানুষ। বাজে পারফরম্যান্সে অনেকেই প্রভাবিত হয়, অনেকে হয় না। আমি হয়তো নিজেকে ওইভাবে তৈরি করে নিতে পেরেছি। আমার চারপাশ অমনই, যেখানে আমাকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা (শঙ্কা) কম থাকে। সেদিন থেকে আমি অনেক ভাগ্যবান।'
শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম ও বিশ্বের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট পূর্ণ করেছেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের একমাত্র অলরাউন্ডার হিসেবে গড়েছেন ১০০ উইকেট ও এক হাজার রানের মাইলফলক।
এমন অর্জনে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত সাকিব। বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, 'অবশ্যই ভালো লাগে এমন কোনো অর্জন যখন হয়। ব্যক্তিগত অর্জনগুলো অবশ্যই অনুপ্রাণিত করে দলের হয়ে ভালো খেলার জন্য। এ যাবতকালে যতো সতীর্থের সঙ্গে খেলেছি, তাদের সাপোর্ট না পেলে এটা কখনোই সম্ভবত হতো না। তাদের সাপোর্ট, কোচিং স্টাফ-দর্শক, সবার সপোর্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। খুবই খুশি। আমার মনে হয় আমি আরও অনেক দিন অবদান রাখতে পারব। সেই চেষ্টাই থাকবে আমার।'