আফগানিস্তানের নবম প্রাদেশিক রাজধানীর পতন, মাজার-ই-শরীফে প্রেসিডেন্ট ঘানি
আফগানিস্তানের আরও একটি প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নিয়েছে তালেবান। বাদাখশান প্রদেশের রাজধানী ফাইজাবাদ দখলের মধ্য দিয়ে এ নিয়ে মোট নয়টি শহর এখন তালেবানের দখলে।
এক সপ্তাহেরও কম সময়ে এক-চতুর্থাংশ প্রাদেশিক রাজধানী এখন তালেবানের নিয়ন্ত্রণে। যেকোনো সময় বাকি রাজধানীগুলোর পতন ঘটতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
শুক্রবার থেকে তালেবান নয়টি প্রাদেশিক রাজধানী দখলে নিয়েছে। ফাইজাবাদ ছাড়া অন্যান্য প্রাদেশিক রাজধানীগুলো হল: ফারাহ, পুল-ই-খুমরি, সার-ই-পুল, শেবারঘান, আইবাক, কুন্দুজ, তালুকান এবং জারাঞ্জ।
ইতোমধ্যে, আফগানিস্তানের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিশাল অংশ দখলে নিয়েছে তালেবান।
তালেবানের দখলে প্রাদেশিক রাজধানী ফাইজাবাদ
সর্বশেষ বাদাখশানের প্রাদেশিক রাজধানী ফাইজাবাদ দখল নিয়েছে তালেবানরা। স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্টরা ফাইজাবাদের পতনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় আইন প্রণেতা যাবিহুল্লাহ আতিক সংবাদ সংস্থা এএফপিকে জানান, কয়েক দিনের তুমুল লড়াইয়ের পর নিরাপত্তা বাহিনী শহর থেকে সরে গেছে।
"শহর এখন তালেবানদের দখলে," বলেন তিনি।
মাজার-ই-শরীফে গেলেন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি
এক সপ্তাহেরও কম সময়ে নয়টি প্রাদেশিক রাজধানীর পতনের মধ্যে নিরাপত্তা বেষ্টিত উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরীফ সফরে এসেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
প্রেসিডেন্টের বাসভবন থেকে প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, "উত্তরাঞ্চলের সাধারণ নিরাপত্তা তত্ত্বাবধানের পরিকল্পনা করছেন ঘানি"।
বুধবার সকালে তিনি মাজার-ই-শরীফ গিয়ে পৌঁছান।
মাজার-ই-শরীফের শক্তিশালী নেতা আতা মোহাম্মদ নূর এবং কুখ্যাত মিলিশিয়া নেতা আব্দুল রশিদ দোস্তামের সঙ্গে আশরাফ ঘানি বৈঠকে বসতে চলেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তালেবান যোদ্ধারা উত্তরাঞ্চলের কাছাকাছি চলে আসায় প্রতিরোধ ব্যবস্থার জোরদার করতে চান তিনি।
মাজার-ই-শরিফের পতন হলে কাবুল সরকারের জন্য তা হবে বিপর্যয়কর।
দীর্ঘ সময় ধরে তালেবান বিরোধী মিলিশিয়াদের অধীনে থাকা শহরটির পতন হলে সরকার উত্তরাঞ্চলের ওপর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ হারাবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র: আল-জাজিরা