ভিয়েতনামে লকডাউন, সরবরাহ সংকটে দিশেহারা নাইকি, গ্যাপসহ পশ্চিমা ব্র্যান্ডের বাজার
ভিয়েতনামে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কঠোর লকডাউনে বিপর্যন্ত তৈরি পোশাক খাত। দেশটি থেকে পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে পশ্চিমা পোশাক প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ডসমূহ।
ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্রের নামীদামী ব্র্যান্ডগুলোর তৈরি পোশাকের প্রধান সরবরাহকারী। ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সেখানে কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড রোধে আরোপিত বিধিমালা শিথিল হওয়ার বাড়ছে ক্রেতাদের চাহিদা। কিন্তু, লকডাউনের মাঝে ব্র্যান্ডগুলোর চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ দিতে ব্যর্থ হচ্ছে ভিয়েতনামের পোশাক নির্মাতা কারখানা।
"ক্রয়াদেশের তালিকায় থাকা পণ্যগুলো হাতে পাওয়াই এখন আমাদের সবথেকে বড় চিন্তা," বলেন আরবান আউটফিটারসের সিইও রিচার্ড হায়েন।
"ভিয়েতনামে পরিস্থিতি ভালো নয়। দেশটি লকডাউনে থাকায় আমি নিশ্চিত যে অন্যরাও আমাদের মতো ভোগান্তির শিকার," বলেন তিনি।
চলতি বছরের জুলাইয়ের আগে ভিয়েতনামে শনাক্ত সংখ্যা দুই হাজারেরও কম ছিল। কিন্তু আওয়ার ওয়ার্ল্ড ডেটার সূত্র অনুসারে, আগস্টের শুরুর দিকে সংক্রমণ সংখ্যা ১০ হাজারের ওপর গিয়ে পৌঁছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম ব্র্যান্ডগুলোর বেশ কয়েকটি ভিয়েতনাম থেকে অধিকাংশ পোশাক আমদানি করে থাকে।
অ্যাক্সিওস জানায়, "পোশাক প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড গ্যাপ এবং লুলুলেমন অ্যাথলেটিকার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পণ্য ভিয়েতনামে তৈরি হয়ে থাকে। নাইকির ফুটওয়্যারের ৫১ শতাংশ ও পোশাকের ৩০ শতাংশই আসে ভিয়েতনাম থেকে।"
কঠোর লকডাউনের জন্য ব্র্যান্ডগুলোর চাহিদা মাফিক পোশাক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
অ্যাবারক্রমবি অ্যান্ড ফিচের নির্বাহী সহ-সভাপতি স্কট লিপস্কি বলেন, "সাপ্লাই চেইন সংকট নিয়ে আমি বলব যে বর্তমানে পরিস্থিতি বেশ কঠিন। আপনারা যেসব আর্টিকেল পড়ছেন সেগুলো সঠিক। আমরা যারা এদিকটায় আছি, তাদের নিত্যদিন এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।"
তবে, কেবল পোশাক সরবরাহ খাতই নয়, অন্যান্য খাতেও পড়েছে লকডাউনের প্রভাব। ভিয়েতনাম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ কফি বীজ সরবরাহকারী দেশ। লকডাউনের কারণে কফির চাহিদাতেও টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়েছে।
- সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার