জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলো আরো ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস
জাতীয় গ্রিডে আরো পাঁচ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হয়েছে। হরিপুর গ্যাসক্ষেত্রের সিলেট-৯ নামক কূপ থেকে এ গ্যাস উত্তোলন করা হয়।
গত শুক্রবার গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) পাইপলাইনে এ গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে বলে জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জনাব নসরুল হামিদ। কেরানীগঞ্জে তিতাসের পানগাঁও ভালভ স্টেশন থেকে বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পাইপলাইন উদ্বোধনের সময় এ কথা বলেন তিনি।
জ্বালানি দপ্তরের মতে, পুরনো একটি কূপ খনন করে ১,৮৯৮ মিটার গভীরতায় পাওয়া গিয়েছিল এ গ্যাস। তাছাড়া, গত বছরের ১ অক্টোবর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত পুনঃনির্মাণকাজ চালানো এই কূপের আরো তিনটি স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন করা যেতে পারে বলে জানানো হয়। বর্তমানে সিলেটের এই গ্যাসক্ষেত্রে মজুদ রয়েছে মোট ১৭০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
বর্তমানে দেশীয় কূপ থেকে উৎপাদিত এবং আমদানিকৃত ২৯০০ থেকে ৩ হাজার মিলিয়ন লিটার লিক্যুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করা হচ্ছে পুরো দেশজুড়ে। তবে দেশের মোট দৈনিক চাহিদার (৩,৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট) তুলনায় এ পরিমাণ কম।
বিসিক শিল্প নগরী থেকে কেরানীগঞ্জে গ্যাসলাইনগুলো স্থাপন করছে তিতাস
ভবিষ্যতের শিল্প স্বার্থ বিবেচনায় রেখে কেরানীগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) শিল্প নগরীতে গ্যাস পাইপলাইন স্থাপনের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিতাস জানায়, ভবিষ্যতে বিসিক শিল্প নগরীতে কমপক্ষে এক হাজারটি শিল্প প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং এর ফলে সেখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের চাহিদা বাড়বে ব্যাপকভাবে।
এছাড়া, পরিকল্পিত এবং পরিবেশবান্ধব শহর গড়ে তোলার লক্ষ্যে কেরানীগঞ্জের জিনজিরাতে নির্মিত বিভিন্ন ওয়াশিং প্ল্যান্ট, ডাইং কারখানা এবং অন্যান্য অনেক শিল্প ভবিষ্যতে বিসিক শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত হবে বলেও জানায় তারা।
তবে, জিনজিরা ও কেরানীগঞ্জের অন্যান্য শিল্প এলাকার পাশাপাশি বিসিক শিল্প উদ্যান এবং অন্যান্য খাতে আগামী ২০ বছরের জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ করার এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে তিতাসের প্রয়োজন হবে ৫০ কোটি টাকা।
আশা করা হচ্ছে, গ্যাস লাইনে নিম্নচাপের বর্তমান সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে প্রকল্পটি।
বিসিক শিল্পাঞ্চলে বর্তমানে অবস্থিত প্রায় ১২৫টি কারখানার অধিকাংশই চলে গ্যাসের সাহায্যে। সাম্প্রতিককালে এ অঞ্চলের বেশ কিছু কারখানা গ্যাস সরবরাহে কম চাপের সম্মুখীন হচ্ছে, এবং এর ফলে বেশ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে কারখানাগুলোকে।