জটিলতা ছাড়াই ছোট উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ
কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) কোনও জটিলতা ছাড়াই স্বল্প সুদে ঋণ প্রদানে নীতিমালা সহজ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ থেকে এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সকল তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের পাঠানো হয়েছে।
কোভিডকালে ২০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্যাকেজ বাস্তবায়নে আগের নির্দেশনাগুলোকে সমন্বিত করে নতুন কিছু নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য নতুন ওই নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, সিএমএসএমই প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন আরও সহজতর করার জন্য ব্যাংকগুলোর বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা পূর্ববর্তী বছরের নিট সিএমএসএমই ঋণ বিতরণের বিবেচনায় নির্ধারিত হবে। তবে, বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে ওই লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি বা হ্রাস করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও বলছে, এই প্যাকেজের আওতায় বরাদ্দকৃত মোট লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৭০ শতাংশ কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্পখাতে এবং সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ মাঝারি শিল্প খাতে প্রদান করা যাবে। আর কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতে প্রদত্ত ন্যূনতম ৭০ শতাংশের মধ্যে উৎপাদন ও সেবা উপখাতে সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম ৬৫ শতাংশ এবং ট্রেডিং (ব্যবসা) উপখাতে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশ। এছাড়া মাঝারি শিল্পখাতে প্রদত্ত সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ উৎপাদন ও সেবা উপখাত হতে সম্মিলিতভাবে অর্জন করতে হবে।
একইসঙ্গে এই প্যাকেজের আওতায় বাৎসরিক মোট ঋণ বা বিনিয়োগের ন্যূনতম ৮ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের প্রদান করতে হবে। এ প্যাকেজের মেয়াদ হবে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।
এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র খাতের উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধন এবং মেয়াদী উভয় ধরনের ঋণ প্রদান করা যাবে। মাঝারি খাতের উদ্যোক্তা শুধুমাত্র চলতি মূলধন ঋণের সুবিধা প্রাপ্য হবেন। কোনও উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ঋণ বা বিনিয়োগ গ্রহণের পর সর্বোচ্চ এক বছর এ প্যাকেজের আওতায় সরকার হতে ভর্তুকি পাবে। খেলাপি ঋণগ্রহীতারা এ প্যাকেজের আওতাভুক্ত হতে পারবে না।
প্রতিটি ব্যাংক বিদ্যমান নিজস্ব নীতিমালার আওতায় ঋণ ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে গ্রাহক নির্বাচন করবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের নিজ বিবেচনায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ঋণ পরিমাণ নির্ধারণ করবে।
এ ঋণের সুদ বা মুনাফার হার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। প্রদত্ত ঋণের সুদের সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ ঋণগ্রহীতা পরিশোধ করবে। বাকি ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি দেবে।