ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল: গাছ বাঁচাতে অগ্নিপ্রতিরোধক চাদর
দাবানলে জ্বলছে ক্যালিফোর্নিয়ার বিশ্বখ্যাত সিকুইয়া জাতীয় উদ্যান। তাই আগুনের হাত থেকে বাঁচাতে, উদ্যানের প্রাচীন কয়েকটি গাছকে অগ্নিপ্রতিরোধক আস্তরণে মুড়িয়ে দিতে শুরু করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, শীঘ্রই উদ্যানের 'দৈত্যাকার বন' এ আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। উদ্যানের বনে বর্তমানে প্রায় ২০০০ সিকুইয়া গাছ রয়েছে, যার মধ্যে আছে ২৭৫ ফুট লম্বা একটি 'জেনারেল শেরম্যান'। আয়তনের দিক থেকে এটিকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ গাছ বলে মনে করা হয়।
গত এক সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে ক্যালিফোর্নিয়ার কলোনি ও প্যারাডাইস অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা। হেলিকপ্টার ও ওয়াটার-ড্রপিং বিমানের সাহায্যে পানি ঢালার পাশাপাশি, সাড়ে তিন শতাধিক অগ্নিনির্বাপণ কর্মী সেখানে আগুন নেভাতে কাজ করছেন।
আগুন থেকে বাঁচাতে জেনারেল শেরম্যানসহ আরও কয়েকটি গাছকে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিকুইয়া অ্যান্ড কিংস ক্যানিয়ন ন্যাশনাল পার্কের মুখপাত্র রেবেকা প্যাটারসন লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস বলেন, "অনেক মানুষের কাছেই এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঞ্চল। তাই এই উদ্যানকে রক্ষার ব্যাপক প্রচেষ্টা চলছে।"
আয়তনের দিক থেকে 'জেনারেল শেরম্যান' বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম ও জীবন্ত সিঙ্গেল-স্টেম গাছ, যার বয়স মনে করা হয় ২৩০০-২৭০০ বছর!
বিশেষজ্ঞদের মতে, সিকুইয়া গাছ বেশ ভালোভাবেই আগুন প্রতিরোধ করতে পারে। ইতিপূর্বেও তারা বিভিন্ন অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধ করে টিকে ছিল।
চলতি বছরে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে ৭৪০০টি দাবানল সংঘটিত হয়েছে; পুড়ে গেছে ২ দশমিক ২ মিলিয়ন একর জায়গা। প্যারাডাইস ও কলোনির আগুন এখন সিয়েরা নেভাডার ঝোপঝাড়পূর্ণ বিস্তীর্ণ ভূমির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, খরা ও শুষ্ক আবহাওয়ার ফলে দাবানলের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
- সূত্র: বিবিসি