খেলোয়াড় ‘অপহরণের’ অভিযোগ মোহামেডানের বিরুদ্ধে
প্রায় তিন বছর পর ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে প্রিমিয়ার লিগ হকির দলবদল। কিন্তু শুরুর আগেই তৈরি হয়ে গেছে চরম উত্তেজনা, সেটাও এক অনাকাঙ্খিত কারণে। যেখানে এক ক্লাব আরেক ক্লাবকে দুষছে খেলোয়াড় 'ছিনতাইয়ের' অভিযোগে। শনিবার মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিরুদ্ধে খেলোয়াড় ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছে মেরিনার ইয়াংস।
এ নিয়ে শনিবার এক সংবাদ সম্মেলন করে মেরিনার ইয়াংস। ক্লাবটির দাবি, চুক্তি হওয়ার পরও মোহামেডান তাদের খেলোয়াড় সারোয়ার মোর্শেদ শাওনকে ছিনিয়ে নিয়েছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মোহামেডান। তাদের দাবি, শাওন নিজে থেকেই মোহামেডানে নাম লিখিয়েছে।
এই বিষয়টি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে মেরিনার ইয়াংস দাবি করে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকায় শাওনের সঙ্গে তাদের চুক্তি হয় তাদের। অগ্রিম ২ লাখ টাকাও নেন শাওন। ১৬ সেপ্টেম্বর নঁওগা থেকে ঢাকা ফিরে ক্লাবে যোগ দেওয়ার কথা ছিল এই হকি খেলোয়াড়ের। কিন্তু এরপর তার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় মেরিনার্সের। পরে মোহামেডান ক্লাবে শাওনকে পাওয়া যায়।
মোহামেডান থেকে প্রায় ২২ ঘণ্টা পর মেরিনার্স ক্লাবে যান শাওন। প্রতিবাদ পত্রে ক্লাবটি জানিয়েছে, শাওনকে নিয়ে তারা মতিঝিল থানায় মোহামেডানের বিরুদ্ধে জিডি করতে যায়। শাওন যে নিজেদের খেলোয়াড়, তার প্রমাণ হিসেবে চুক্তিপত্র, ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে দুই লাখ টাকা পরিশোধের তথ্যসহ চুক্তি স্বাক্ষরের ছবিও গণমাধ্যমকে দিয়েছে মেরিনার্স।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে মেরিনার্সের সহ-সভাপতি আলমগীর কবির বলেন, 'শাওন আমাদের থেকে অগ্রিম ২ লাখ টাকা নিয়েছে, চুক্তিও হয়েছে। বৃহস্পতিবার নঁওগা থেকে আমাদের ক্লাবে আসার কথা। কিন্তু পরের দিন জানতে পারলাম ঢাকায় আসার পর শাওনকে দুই ব্যক্তি হেফাজতে নিয়ে নেয়। রাতে মোহামেডান ক্লাবে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে থানা-পুলিশ করেও সমাধান হয়নি। শাওন বর্তমানে মোহামেডানের অধীনে আছে। তাদের কাছে এমনটি প্রত্যাশিত নয়। আমরা এর বিচার চাই।'
যদিও এই অভিযোগ আমলেই নেয়নি মোহামেডান। ক্লাবটির হকি কমিটির চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, 'কীসের অপহরণ? কোনো একজন খেলোয়াড় মোহামেডানে খেলতে চায়, এই জন্য আমাদের ক্লাবে এসেছে। সেটাকে কী অপহরণ বলা চলে?'
এই সমস্যা সমাধানে সংস্থার নিয়ম অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন হকি ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, 'দলবদলের সময় খেলোয়াড়রা যে ক্লাবের পক্ষে তাদের টোকেন (চুক্তি, পূর্ববর্তী দলের ছাড়পত্রসহ বিস্তারিত কাগজ) জমা দেবে, তারা সেই ক্লাবের হয়ে নিবন্ধিত হবে। এই সিদ্ধান্ত ক্লাবগুলোই নিয়েছিল এবং আমরা শুধু এটা বাস্তবায়ন করব। এই ইস্যুতেও হকি ফেডারেশনের অবস্থান একই থাকবে।'
