ধামাকার সিইও-সহ দুইজনের রিমান্ড মঞ্জুর, একজন কারাগারে
টাকা নিয়ে পণ্য সরবরাহ না করায়, প্রতারণা মামলায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকা ডটকম এর সিইও সিরাজুল ইসলাম রানা ও সিস্টেম ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান সবুজের দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন গাজীপুর মহানগর সিএমএম আদালত। অপর ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম স্বপন ওরফে মিথুন খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত ।
বিকেলে গাজীপুর আদালতের নির্বাহী হাকিম ইকবাল হোসেন এ আদেশ দেন। এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের টঙ্গীর এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে প্রতারণার অভিযোগে ধামাকার চেয়ারম্যান ও পরিচালকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে জিএমপি টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন । মামলা প্রেক্ষিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গতকাল বুধবার বিকেলে তাদের টঙ্গী থানায় হস্তান্তর করা হয় ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আসামীদের আদালতে হাজির করে পুলিশ সাতদিনের রিমান্ড চাইলে,আদালত দু-দিন করে রিমান্ড দেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশনের উত্তর আউচপাড়া এলাকার পোশাক কারখানার পার্টস ব্যবসায়ী শামীম খান ধামাকার ১১ জনের বিরুদ্ধে টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসিমউদ্দিন চিশতী, চেয়ারম্যান এম আলী ওরফে মোজতবা আলী, সিইও সিরাজুল ইসলাম রানা, প্রধান ব্যবসা কর্মকর্তা দেবকর দে শুভ, নাজিম উদ্দিন আসিফ, হেড অব অ্যাকাউন্টস- সাফোয়ান আহমেদ, ডেপুটি ম্যানেজার আমিরুল হোসাইন, আসিফ চিশতী, সিস্টেম ক্যাটাগরি হেড ইমতিয়াজ হাসান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম স্বপন ও উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরোধ বারান রয়।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, গত ২০ মার্চ ধামাকা শপিং ডটকমের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন ভার্চুয়াল সিগনেচার কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কেনার অফার দেওয়া হয়। অনলাইনে অফারটি দেখে বাদী শামীম প্রতিষ্ঠানের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন। যোগাযোগ করার পর তাকে জানানো হয়, পণ্য অর্ডার করলে ৪৫ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে। সে অনুযায়ী ৮৪টি ইনভয়েসের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত ইনভয়েসে ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন ওই ব্যবসায়ী।
প্রতিষ্ঠানটি তার অর্ডার কনফার্ম করে এবং কনফার্ম ইনভয়েস জিমেইল আইডিতে পাঠায়। কিন্তু প্রতিষ্ঠান থেকে নির্ধারিত ৪৫ দিনেও পণ্য সরবরাহ করেনি।
শামীম অভিযোগ করেন, '৫০ দিন পর হেল্পলাইনে যোগাযোগ করলে, আমাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। এক মাস অপেক্ষা করার পর, তাদের প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মকর্তার সই করা ১১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার দুটি চেক দেয়া হয়। ওই চেক নিয়ে টাকা তুলতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, অ্যাকাউন্টে টাকা নেই। গত ৫ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের সিইও মামলার ৩ নম্বর আসামি সিরাজুল ইসলামের কাছে গেলে, তিনি টাকা না দিয়ে উল্টো আমাকে হুমকি দেন। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠানটির অফিসে গিয়ে দেখি অফিস তালাবদ্ধ।'