শাহরুখ-পুত্রকে ধরতে যাত্রীর ছদ্মবেশে প্রমোদতরীতে উঠেছিলেন সমীর
গত বছর তারকা অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যময় মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডের মাদক-যোগ নিয়ে সোরগোল পড়ে যায়। এরপর থেকে ভারতের মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাংশের কাছে রীতিমতো আতঙ্কে পরিণত হয় দেশটির মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর- এনসিবি; বিশেষ করে এর কর্মকর্তা সমীর ওয়াংখেড়ে।
শনিবার রাতে প্রমোদতরীতে অভিযান চালিয়ে বলিউড 'বাদশা' শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে আটকের পর আবারও আলোচনায় সমীর। কারও কারও কাছে আবারও তিনি হয়ে উঠেছেন সুপারহিরো! কেননা, আরিয়ানকে বাগে পেতে বেশ 'ফিল্মি' কৌশল অবলম্বন করেছিলেন তিনি। যাত্রীর ছদ্মবেশে উঠে পড়েছিলেন ওই প্রমোদতরীতে।
সমীরের এই 'নায়কগীরী' অবশ্য নতুন নয়। সুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত করতে গিয়ে মাদক-যোগের খোঁজ পান তিনি। তারও আগে, আমদানি শুল্ক না দেওয়ায় ২০১১ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি আটকে দিয়েও 'নায়কে' পরিণত হন। ফলে শুল্ক দিয়ে ট্রফি ছাড়াতে বাধ্য হয়েছিল সংশ্লিষ্টরা।
শুধু তাই নয়, ২০০৮ ব্যাচের আইআরএস অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বে গত দুই বছরে তার দল মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে ১৭ হাজার কোটি টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করেছে।
আরও পড়ুন: মাঝ সমুদ্রে রেভ পার্টি! আটক শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান
এমনকি, দেশটির শুল্ক দপ্তরে কাজ করার সময় একাধিক তারকার বিদেশ থেকে আনা পণ্য বিমানবন্দর থেকে ছাড়ানোর অনুমতি আটকে দিয়েছিলেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তাছাড়া অন্তত দুই হাজার তারকার বিরুদ্ধে তিনি দায়ের করেছিলেন কর ফাঁকির অভিযোগ।
বলে রাখা ভালো, ২০১৩ সালে মুম্বাই বিমানবন্দরে বিদেশি মুদ্রাসহ এই সমীরের হাতেই ধরা পড়েন গায়ক মিকা সিংহ। এ ছাড়া অনুরাগ কাশ্যপ, বিবেক ওবেরয়, রামগোপাল বর্মা-সহ নামিদামি তারকা অভিনেতা ও পরিচালকের বিরুদ্ধে হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির মামলাতেও তিনি চালিয়েছেন তল্লাশি।
এই কঠোর কর্মকর্তা সমীরের ব্যক্তি জীবনেও রয়েছে বলিউডের সঙ্গে সম্পর্ক। অজয় দেবগণ অভিনীত 'গঙ্গাজল' ছবির শিল্পী ক্রান্তি রেডকরের স্বামী তিনি।
-
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা