‘পুরনো’ পাপন বিসিবির নতুন সভাপতি
তিনটি মেয়াদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। আরও একবার তার হাতেই উঠলো বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব। বুধবার নির্বাচনের পর বিসিবির ২৫ পরিচালক নিশ্চিত হয়। বৃহস্পতিবার তাদের ভোটে চার বছরের আরেকটি মেয়াদে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হলেন নাজমুল হাসান।
আগেরদিন নির্বাচনের পর অনানুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হয়। পরদিন এসে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল জানানো হয়। এদিন বিসিবির প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম ফরহাদ হুসেইনের উপস্থিতিতে বিসিবি সভাপতি পদের ভোটাভুটি হয়।
সভাপতির পদে কেউ আগ্রহী আছেন কিনা, ভোটাভুটির আগে সেটা জানতে চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। কেউই আগ্রহ দেখাননি। পরে সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসানের নাম প্রস্তাব করেন চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক নির্বাচত হওয়া আ জ ম নাছির উদ্দীন। এই প্রস্তাবে সমর্থন জানান আরও দুই পরিচালক গাজী গোলাম মূর্তজা ও এনায়েত হোসেন সিরাজ।
এরপর নির্বাচন কমিশনার জানতে চান কারও কোনো আপত্তি আছে কিনা। সবাই মত দেওয়ার পর বিসিবি সভাপতি হিসেবে নাজমুল হাসানের নাম ঘোষণা করা হয়। এবারই প্রথম ভোট জিতে পরিচালক হয়ে বিসিবি সভাপতির পদে আসীন হলেন নাজমুল হাসান। আগের দুই নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।
যদিও নির্বাচনের আগে নাজমুল হাসান জানিয়েছিলেন, এবার সভাপতি হতে চান না তিনি। তার চাওয়া ছিল, নতুন কেউ এগিয়ে এসে সভাপতি পদের চ্যালেঞ্জটা নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করুরু। কিন্তু সেটা হয়নি, আগ্রহ দেখাননি কেউই। পরিচালনা পর্ষদের ভোটে আবারও সভাপতি নির্বাচিত হলেন তিনি।
বিসিবি নির্বাচনে ক্যাটাগরি-২ এ ৫৭ জন ভোটার ছিল। ভোট পড়েছে ৫৩টি, সবগুলোই পেয়েছেন নাজমুল হাসান। এবারের নির্বাচনে এটা সর্বোচ্চ ভোটের রেকর্ড।
এ নিয়ে টানা চতুর্থবার বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পেলেন নাজমুল হাসান। ২০১২ সালের অক্টোবরে প্রথমবার দায়িত্ব নেন তিনি। সেটা ছিল সরকারের মনোনয়নে। পরের বছরের অক্টোবরে বিসিবির প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হন তিনি, এটাও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এরপর ২০১৭ সালেও তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিসিবি পরিচালক হয়ে সভাপতি হন তিনি।
২৫ জন পরিচালক নিয়ে বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হয়। এর মধ্যে দুজন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) মনোনীত। বাকি ২৩টি পরিচালক পদে তিনটি ক্যাটাগরি থেকে নির্বাচন হয়। ক্লাব ক্যাটাগরিতে ১২, জেলা ও বিভাগ ক্যাটাগরিতে ৩ এবং ক্যাটাগরি-৩ (পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, সাবেক ক্রিকেটার, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান) থেকে একজন নির্বাচিত হয়েছেন। সাতজন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ১৬টি পরিচালক পদে ভোট গ্রহণ হয়।