শাহরুখ-পুত্রের পরিচয় এখন ‘কয়েদি নম্বর ৯৫৬’
অনেক বছর আগে 'বীর-জারা' ছবিতে পাকিস্তানের জেলবন্দি অবস্থায় দেখানো হয়েছিল শাহরুখ খানকে। কারাগারে দাঁড়িয়ে শাহরুখের গলায়, 'ম্যায় কয়েদি নম্বর ৭৮৬…' সংলাপ শুনে আবেগাক্রান্ত হননি এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। কিন্তু কে জানত, সেই সংলাপ এভাবে সত্যি হয়ে ফিরে আসবে তার সন্তানের জীবনে! বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেলে কয়েদিদের নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেখানেই শাহরুখ-পুত্র আরিয়ানের পরিচয় 'কয়েদি নম্বর ৯৫৬'।
বৃহস্পতিবার মুম্বাই সেন্ট্রাল জেল তথা আর্থার রোড জেলে এক সপ্তাহ হয়ে গেল শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খানের। একই দিনে প্রমোদতরী মাদক মামলায় আরিয়ানের জামিনের আবেদন স্থগিত রেখেছে আদালত। অর্থাৎ আগামী ২০ অক্টোবর, বুধবার পর্যন্ত আর্থার রোড জেলই ঠিকানা আরিয়ান-সহ মাদক কাণ্ডে গ্রেপ্তারকৃতদের।
মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেল সূত্রে খবর, নতুন জায়গায় মানিয়ে নিতে যথেষ্ট অসুবিধায় পড়ছেন আরিয়ান। তাকে দেখে দৃশ্যত হতাশ লেগেছে। নিরাপত্তার কারণে প্রমোদতরীর মাদক মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের পৃথক ব্যারাকে রাখা হয়েছে।
করোনা আবহে জেলে প্রবেশ করলেই থাকতে হয় কোয়ারেন্টিনে। সে জন্য জেলের মধ্যেই রয়েছে পৃথক ব্যবস্থা। বুধবার পর্যন্ত সেই কোয়ারেন্টিন সেলেই ছিলেন আরিয়ানরা। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। সকলেরই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পর তাদের সাধারণ ব্যারাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার কয়েদি নম্বর পেয়েছেন আরিয়ান। তার নম্বর 'এন-৯৫৬'।
খাবার
জেলের খাবারই খেতে হচ্ছে আরিয়ানদের। এখানে বাইরে থেকে খাবার পাঠানোর নিয়ম নেই। প্রথম কয়েকদিন জেলের খাবার না খেলেও ইদানীং সেই খাবার খেতে বাধ্য হচ্ছেন আরিয়ান।
গত ১১ সেপ্টেম্বর, সোমবার 'মান্নাত' থেকে আর্থার রোড জেলের ডাকঘরে এসে পৌঁছেছে একটি সাড়ে চার হাজার টাকার মানি অর্ডার। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, খাবার খরচ বাবদ মাসে সর্বোচ্চ সাড়ে চার হাজার টাকা পাঠানো যায়। শাহরুখ ইতিমধ্যেই চলতি মাসের অর্থ পাঠিয়ে দিয়েছেন।
পোশাক
আপাতত বাড়ি থেকে পাঠানো পোশাক পরছেন আরিয়ান। করোনা আবহে এ বিষয়ে আলাদা নিয়ম আছে। তবে এখনও পর্যন্ত জেলের পোশাক পরতে হয়নি আরিয়ানকে।
যেভাবে কাটছে দিন
আর্থার রোড জেলের কয়েদিদের সকাল ৬টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়। আরিয়ান তার ব্যতিক্রম নন। সকাল ৭টায় নাশতা পরিবেশন করা হয়। সকাল ১১টায় দুপুরের খাবার। সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নিতে হয়। তারপর থেকে বন্ধ হয়ে যায় জেলের ব্যারাক।
বিকেলে জেলের মধ্যেই একটি খোলা জায়গায় ঘোরাঘুরি করেন কয়েদিরা। আরিয়ানও সেখানে যাচ্ছেন। 'ইন্ডিয়া টুডে' জেলের এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করছে, আরিয়ান কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, তা খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন জেলের কর্মচারীরা।
- সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা