ফিরে দেখা: মাইক টাইসন
আশির দশকে বক্সিং রিং কাঁপানো হেভিওয়েট সুপারস্টার মাইক টাইসনকে বলা যায় বক্সিং জগতের সবচেয়ে আলোচিত এবং সমালোচিত তারকা। নিজের অসামান্য শক্তির জোরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা এবং অগ্নিশিখার মতো উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব দিয়ে বরাবরই লাইমলাইটে এসেছেন তিনি। তবে বিতর্ক কখনো পিছু ছাড়েনি টাইসনের। আজীবন একের পর এক বিচার-বিতর্কের জালে আটকে থাকাই যেন টাইসনকে ক্রীড়া জগতের এক ব্যতিক্রমী মুখ হিসেবে চিনিয়েছে।
নিজেকে ভালোবাসতেন মাইক টাইসন। বক্সিং ক্যারিয়ারের গৌরবোজ্জ্বল সময়টায় নিজের জন্য প্রায়ই বিলাসবহুল-দামি উপহার কিনতেন। সেই ধারা বজায় রাখতেই যেন নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে একজোড়া বাঘশাবক কিনে আনেন তিনি। এদের মধ্যে একটি বাঘকে প্রায় ১৬ বছর নিজের পোষা প্রাণী হিসেবে রেখেছেন টাইসন।
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে পুরনো দিনের কিছু ছবি পোস্ট করেছেন এই বক্সিং তারকা। তারই একটি ছবিতে দেখা মিলেছে টাইসনের পোষা বেঙ্গল টাইগারের। ছবিতে হালকা করে বাঘের গলা চেপে ধরতে দেখা যায় 'আয়রন মাইক'কে।
ছবিগুলোর ক্যাপশনে টাইসন লিখেছেন, "চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওঠার আগেই আগেই তোমাকে চ্যাম্প হতে হবে। এটাই হতে হবে তোমার লাইফস্টাইল।"
'দ্য ব্যাডেস্ট ম্যান অন দ্য প্লানেট' হিসেবে পরিচিত টাইসনের পোষা বাঘটির নাম 'কেনিয়া'। ৫৫০ পাউন্ড ওজনের কেনিয়ার প্রতি টাইসনের ভালোবাসা ছিল চোখে পড়ার মতো। একবার এক নারী বক্সিং তারকার বাগানে ঢুকে পড়লে, তাকে আক্রমণই করে বসে কেনিয়া।
তবে কেনিয়ার বয়স বেড়ে যাওয়ায়, তার কাছ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে টাইসনকে; যদিও ভালোবাসাটা আগের মতোই আছে। এর বাইরে কয়েক শত কবুতরও পুষেন টাইসন।
মাইক টাইসনের মতো কোনো বক্সার আর আসবে কিনা, সে এক বড় প্রশ্ন! এতগুলো বছর পরেও বক্সিংপ্রেমীরা টাইসনের মতো সেরা এবং ক্ষ্যাপাটে কাউকে খুঁজে পাননি। খেলোয়াড়ি দক্ষতা ও নৈপুণ্যের দিক থেকে টাইসন আজও অদ্বিতীয়।
টাইসন নিজেও মনে করেন, বক্সিং জগতে আজও তার নাম বেশ জোরালোভাবেই উচ্চারিত হয়। তাই একথা অস্বীকার করা কঠিন যে রিংয়ের ভেতরে তার মতো তারকা আর কেউই নেই।
- সূত্র: এসেনশিয়ালি স্পোর্টস