অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে চট্টগ্রামে ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা
অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে আরো একটি মামলা করেছেন ইকবাল হোসেন (২৯) নামে ভুক্তভোগী এক গ্রাহক। আরো ২২ ভুক্তভোগী গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে প্রায় এক কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ৯২৬ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে তিনি এ মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।
রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন ই-অরেঞ্জ মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ সোহেল রানা এবং প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, জায়েদুল ফিরোজ ও নাজমুল হাসান রাসেল।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৭ মে-এর পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন গ্রাহকরা। তবে নির্দিষ্ট সময়ের পরেও প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি।
অর্ডার নেওয়ার পর থেকে ই-অরেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহের আশ্বাস দেয়। কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১,১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। আত্মসাৎ করা এ টাকার মধ্যে চট্টগ্রামের ২৩ জন গ্রাহকের প্রায় এক কোটি ৩২ লাখ ৭০ হাজার ৯২৬ টাকা রয়েছে।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুস সাকিব বলেন, "ই-অরেঞ্জ সারাদেশে লক্ষাধিক গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমরা চট্টগ্রামের প্রতারিত গ্রাহকদের পক্ষে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। আশা করি আমরা ন্যায় বিচার পাব।"
একই অভিযাগে এর আগে ঢাকা মহানগর হাকিম এবং কুমিল্লা আদালতেও সোনিয়া মেহজাবিন এবং মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।