ইনিংস হারের চাপে বাংলাদেশ
প্রথমে ব্যাটিংয়ে দুর্দশা, পরে নখদন্তহীন বোলিং। তাতে চাপ বেড়েছে, তৈরি হয়েছে ইনিংস হারের শঙ্কা। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ২৩৩ রান টপকে আরও অনেকটা পথ পাড়ি দিয়েছে পাকিস্তান। ৩ উইকেটে ৩৪৩ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করা স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস থেমেছে ৪৪৫ রানে। বাকি সাত উইকেটে তৃতীয় দিনে ১০৩ রান যোগ করেছে তারা।
প্রথম ইনিংসেই ২১২ রানের লিড পেয়ে গেছে আজহার আলীর দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে এখন পর্যন্ত ১৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৫১ রান। তামিম ইকবাল ৩২ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৩ রানে ব্যাটিং করছেন। সাইফ হাসান আউট হয়ে গেছেন ১৬ রান করে।
রাওয়ালপিন্ডিতে ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশকে করতে হবে ২১২ রান। কিন্তু শঙ্কা জাগছে, দ্বিতীয় ইনিংসে এই রান পাড়ি দিতে পারবে তো বাংলাদেশ! প্রথম ইনিংসের হতশ্রী ব্যাটিংয়ের কারণেই এই শঙ্কা। বাংলাদেশ দল এখন যে চাপের বোঝা বইছে, সেটার নেপথ্যেও ওই ইনিংস।
পাকিস্তানের পেস বোলারদের বিপক্ষে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসে নিজেরাই নিজেদের পথ কঠিন করে তুলেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। বোলিংয়ে সেটা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে ঠিক সময়ে তা করে দেখাতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
পাকিস্তানের ইনিংসের শুরু থেকে কেবল আবু জায়েদ রাহি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে গেছেন। বাকিরা তাকে সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি। তৃতীয় দিন সকালে রুবেল হোসেন ছন্দ খুঁজে পেলেও ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে। এর আগেই আসল কাজ করে নেয় পাকিস্তান।
তৃতীয় দিনের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়েছে বাংলাদেশের। এদিন শুরুতেই পাকিস্তানকে বিপদে ফেলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ১৪৩ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করা বাবর আজমকে তৃতীয় দিনের প্রথম বলেই ফিরিয়ে দেন আবু জায়েদ। বাবরকে ফিরিয়ে ছন্দ খুঁজে পাওয়া বাংলাদেশের বোলাররা দ্রুতই বাকিদের সাজঘরের পথ দেখান।
আগের দিনের আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান আসাদ শফিককে (দ্বিতীয় দিন শেষে ৬০) টিকতে দেননি এবাদত হোসেন। তার বলে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে থামেন ৬৫ রান করা শফিক। এরপর পাকিস্তানের হয়ে হারিস সোহেলকে একাই লড়তে হয়েছে। রুবেল, তাইজুলদের সামনে বাকি ব্যাটসম্যানরা সুবিধা করতে পারেননি।
কয়েক রানের ব্যবধানে মোহাম্মদ রিজওয়ান, ইয়াসির শাহ ও শাহিন আফ্রিদিকে সাজঘরে পাঠান রুবেল হোসেন। হারিস সোহেল ১০৩ বলে ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় ৭৫ রানের কার্যকরী এক ইনিংস খেলেন। আবু জায়েদ ও রুবেল ৩টি, তাইজুলি দুটি এবং এবাদত একটি উইকেট নেন।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৩/১০ (নাজমুল হোসেন ৪৪, মিঠুন ৬৩, লিটন ৩৩; শাহিন ৪/৫৩, আব্বাস ২/১৯, ২/১১)।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১২২.৫ ওভারে ৪৪৫/১০ (শান মাসুদ ১০০, বাবর ১৪৩, আসাদ ৬০, হারিস ৭৫; আবু জায়েদ ৩/৮৬, রুবেল ৩/১১৩, তাইজুল ২/১৩৯, এবাদত ১/৯৭)।