ছোটদের বিশ্বজয়ের পরদিনই বড়দের অসহায় আত্মসমর্পণ
রোববার রাতে ক্রিকেট ইতিহাসে নতুন পাতা যোগ করেছেন বাংলাদেশের যুবারা। স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছেন আকবর আলী, মাহমুদুল হাসান, শরিফুল ইসলামরা। পুরো দেশ এখন যুবাদের বিশ্বজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত। এমন দিনে পাকিস্তানের বিপক্ষে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশে জাতীয় ক্রিকেট দল।
রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের চতুর্থ দিনেই হার মেনে নিয়েছেন মুমিনুল হকরা। দুই ইনিংসেই হতশ্রী ব্যাটিং করা বাংলাদেশ এক ইনিংস ও ৪৪ রানে হেরে গেছে। ইনিংস হার এড়াতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে করতে হতো ২১২ রানের বেশি। কিন্তু গুটিয়ে যায় ১৬৮ রানেই।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৩ রানের জবাবে দুই সেঞ্চুরিতে স্বাগতিক পাকিস্তান করে ৪৪৫ রানের বড় সংগ্রহ। এই ইনিংসেই ২১২ রানের লিড পেয়ে যায় আজহার আলীর দল। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য ছিল এই রান পাড়ি দেওয়া। কিন্তু কোনো ব্যাটসম্যানই পারেননি দলকে পথ দেখাতে।
তৃতীয় দিন ম্যাচ সেরা নাসির শাহের হ্যাটট্রিকে ছত্রখান হয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। ১২৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে। কিছুটা আশার আলো জিইয়ে রাখেন অধিনায়ক মুমিনুল হক ও লিটন দাস। কিন্তু চতুর্থ দিন সকালেই ফিরে যান অধিনায়কও। লিটনও পারেননি স্রোতের বিপরীতে লড়াই চালিয়ে যেতে।
এই ইনিংসে পাকিস্তানের পেসার নাসিম শাহ এবং লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ ৪টি করে উইকেট নেন। এ ছাড়া শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ আব্বাস নেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৮২.৫ ওভারে ২৩৩/১০ (নাজমুল হোসেন ৪৪, মিঠুন ৬৩, লিটন ৩৩; শাহিন ৪/৫৩, আব্বাস ২/১৯, ২/১১)।
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১২২.৫ ওভারে ৪৪৫/১০ (শান মাসুদ ১০০, বাবর ১৪৩, আসাদ ৬০, হারিস ৭৫; আবু জায়েদ ৩/৮৬, রুবেল ৩/১১৩, তাইজুল ২/১৩৯, এবাদত ১/৯৭)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ৪৫ ওভারে ১২৬/৬* (তামিম ৩৪, শান্ত ৩৮, মুমিনুল ৪১, লিটন ২৯; নাসিম ৪/২৬, ইয়াসির ৪/৫৮)।
ফল: পাকিস্তান ইনিংস ও ৪৪ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: নাসিম শাহ