বীরের বেশে ফিরলেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা
দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশের বিশ্বজয়ী যুবারা। আকবর, হৃদয়, শরিফুলদের বহন করা এমিরেটসের বিমানটি বুধবার বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়।
প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়া যুবাদের বরণ করে নিতে জমকালো আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিমানবন্দর থেকেই উদযাপনের ব্যবস্থা করে রেখেছে তারা।
সময় স্বল্পতার কারণে কিছু আয়োজন বাদ দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। দমকল বাহিনীর রংধনু বানিয়ে গার্ড অব অনার দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা হচ্ছে না।
বিমানবন্দর থেকে নামার পর বিজয়ী দলের সবাইকে মিষ্টিমুখ করিয়ে ফুলের মালা পরানো হয়। পরে ক্রিকেটারদের নিয়ে যাওয়া হয় ভিআইপি লাউঞ্জে।
ক্রিকেটারদের সঙ্গে আছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ও বিসিবির পরিচালকরা।
এদিকে বিমানবন্দরে লাউঞ্জের বাইরে ক্রিকেটারদের স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন বিপুলসংখ্যক মানুষ।
এর আগে বিমানবন্দরে এসে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, 'যে সাফল্য আমরা পেয়েছি তাতে পুরো দেশ আনন্দিত। অতীতে এত বড় সাফল্য আমরা পাইনি। এই সাফল্যের ধারা অব্যহত রাখতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা করব। আগামী শুক্রবার সংবর্ধনার কথা ভাবলেও বিসিবি সময় চেয়েছে। পরের শুক্রবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে আমরা সংবর্ধনা করে ফেলব।'
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বিশালাকৃতির এক কেক কেটে কিছুক্ষণের মধ্যে বাংলাদেশের তরুণ তুর্কিদের নিয়ে যাওয়া হবে বিসিবিতে।
বিমানবন্দর থেকে বিসিবিতে যাওয়ার পথেও বিশেষ পরিকল্পনা ছিল দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির। বাংলাদেশ যুবাদের খোলা ট্রাকে করে মিরপুর শেরে বাংলায় নেয়ার ব্যবস্থা করে রেখেছিল বিসিবি। কিন্তু দিনের আলো নেই বলে এই পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে তারা।
বিসিবিতে দল পৌঁছালে ছোট্ট একটি বৈঠক হবে। যেখানে বাংলাদেশ যুবাদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। এরপর সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন ফাইনালের ব্যাটিংয়ে ‘ক্যাপ্টেন কুল’ খেতাব জিতে নেয়া অধিনায়ক আকবর, কোচ নাভিদ নাওয়াজ ও বিসিবি সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনের পর হাতে-মুখে পানি দেয়ার জন্য কিছুটা সময় পাবে যুবারা। এরপর বোর্ডের সবার সঙ্গে বিসিবিতেই রাতের খাবার খাবেন আকবর আলীরা। ডিনার শেষে দ্রুত ছেড়ে দেয়া হবে ক্রিকেটারদের। যাদের বাসা ঢাকায়, তারা রাতেই চলে যাবেন। আর যারা ঢাকার বাইরে যাবেন, তারা রাতে একাডেমি ভবনে থেকে পরদিন সকালে রওয়ানা দেবেন।
বীর যুবাদের বরণ করে নিতে মঙ্গলবার রাতেই সেজে উঠেছে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরে বাংলা। বিভিন্ন রঙের আলোকসজ্জায় ঝলমল করছে পুরো স্টেডিয়াম। এরআগেই প্রধান ফটকের সামনে ঝোলানো হয়েছে বড় এক ব্যানার। যেখানে আকবর, শরীফুল, রকিবুলদের ছবির পাশে বিরাট অক্ষরে লেখা ‘ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন।’