ইউপি নির্বাচন: বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সিরাজগঞ্জে ১৮ আ. লীগ নেতাকে বহিস্কার
দলের নির্দেশ অমান্য করে বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইউপি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া ও সলঙ্গার ১১ ইউনিয়নের ১৮ আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
তাদের বহিস্কারের বিষয়টি গতকাল শুক্রবার দিনভর এলাকায় মাইকিং করে প্রচার করা হয়েছে। আজ শনিবার তাদের বহিষ্কারের চিঠি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাবু।
বহিস্কৃতরা হলেন- উল্লাপাড়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম রতন এবং কার্যকরী সদস্য আকমল হোসেন, পঞ্চকোশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম লিটন, পূর্ণিমাগাঁতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন সরকার, সলপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য হেলাল উদ্দিন আকন্দ, বাঙ্গালা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবু হানিফ, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য ইকবাল হোসেন, বড়পাঙ্গাসী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য আবু বক্কার সিদ্দিক, দূর্গানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা হায়দার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব কুমার বর্মণ, সদস্য সুব্রত কুমার চাকী, সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমান, হাটিকুমরুল ইউনিয়নের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ, সলঙ্গা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোক্তার হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান শফি কামাল শফি, রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরিফ হোসেন ও সলঙ্গা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জেল হোসেন সাগর।
উল্লাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফা জানান, "দলের নির্দেশ অমান্য করে উল্লাপাড়া উপজেলার অর্ন্তগত ৮টি ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ১২ নেতাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বিষয়টি মাইকযোগে শুক্রবার দিনভর ইউনিয়নগুলোতে প্রচার করা হয়েছে।"
সলঙ্গা থানার সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাবু জানান, দলের নির্দেশ অমান্য করে সলঙ্গা থানার অর্ন্তগত ৩টি ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৬ নেতাকে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্বান্ত চুড়ান্ত হয়েছে। আজই (শনিবার) চিঠি দিয়ে বিষয়টি তাদের জানিয়ে দেয়া হবে।
তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর দেশের আরও কয়েকটি জেলার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।