চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে বৃহস্পতিবার ৯৭ লট পণ্যের নিলাম
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ১ হাজার ৮০০ ব্যাগ জিরাসহ বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৯৭ লট পণ্যের নিলাম কার্যক্রম।
এবারের নিলামে ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬২ টাকার জাপানি টয়োটা মাইক্রোবাস, ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ টাকার নিশান মাইক্রোবাস, ৭১ লাখ ৯৮ হাজার ৩০৪ টাকার নিশান অ্যাটলাস পিকআপ, ৭৯ লাখ ৮১ হাজার ৪৫৬ টাকার ক্রেন, ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৮ হাজার ১৭৯ টাকার টয়োটা ভ্যানগার্ড জিপ, ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৯ টাকার অ্যাম্বুলেন্স, ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ১৬৭ টাকার নিশান-এইচটি ৩২ মডেলের গাড়ি নিলামে তোলা হচ্ছে।
এছাড়া অন্যান্য পণ্যের মধ্যে রয়েছে ফ্যাব্রিক্স পণ্য, জেন্টস আন্ডারওয়্যার, জংধরা ড্রাম, নাইলনের দড়ি, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, ফ্রুট ড্রিংক্স, চকলেট, মেটাল এংগেল, সুইচ সকেট, যব, বনেট, স্টিল রেক, আয়রন রোপ, আয়রন স্ক্যাপ, আয়রন প্লেট, ওয়্যার রোপ, পেট্রোল জেনারেটর, সালফিউরিক এসিড, টেক্সটাইল কেমিক্যাল, ড্রাগন ফল, জিংক অক্সাইড, পেপার ট্যাগ, ল্যাবরেটরি পণ্য, জুস, হ্যান্ড সেনিটাইজার পণ্য, ইলেকট্রিক বেহিক্যাল, গ্যাস স্টোভ পার্টস, রেডিমেড গার্মেন্টস পণ্য, মেশিনারি পণ্য, টায়ার, ইঞ্জিন, কোরিয়ান গ্লস আর্ট পেপার, প্লাস্টিকের খেলনা, ফসফরিক এসিড, প্যারাফিন, ম্যান পোলো শার্ট, সুয়েটার, ট্রাউজার সহ বিভিন্ন পণ্য।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) আলী রেজা হায়দার জানান, প্রতিমাসের নিয়মিত নিলামের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার কাস্টমসের নিলাম অডিটরিয়ামে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটায় দরপত্র খোলা হবে।
সরকারি নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম করপোরেশন-এর ম্যানেজার মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, 'গত ১৪ থেকে ১৬ নভেম্বর নিলামের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। ১৭ নভেম্বর বেলা ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা (প্রশাসন) ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে টেন্ডার বক্সে দরপত্র জমা দেওয়ার সুযোগ ছিল।'
প্রসঙ্গত, বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন পণ্য খালাস করেন না আমদানিকারকরা। পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনতে গিয়ে কায়িক পরীক্ষায় আটক হয় অনেক পণ্য। নিয়মনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে এসব পণ্য খালাসের নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে পণ্য খালাস না করালে এসব পণ্য নিলামে তোলে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ।