সামনে আরও বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত দিচ্ছে আজকের কম্পন: চবি গবেষক
শুক্রবার ভোররাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে উদ্ভুত এ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৬.১।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) একজন গবেষকের মতে, আজকের ভূমিকম্প অদূর ভবিষ্যতে যে বড় আকারের ভূমিকম্প ঘটতে চলেছে তারই সূচক।
চবির ভূগোল ও পরিবেশ অধ্যয়নের শিক্ষক এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ওপর গবেষক বিশ্বজিৎ নাথ বলেন, "সমগ্র হিমায়ন রেঞ্জে আজ ২ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৬ মেগাওয়াট পর্যন্ত ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে।"
আর এসব ঘটেছে মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে। এটি একটি 'ইন্ট্রাপ্লেট মুভমেন্ট' যা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, সমস্ত থ্রাস্ট ফল্ট লাইনগুলো সক্রিয় রয়েছে।
তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই যে বড় ধরনের ভূমিকম্প ঘটতে পারে এটি তার এক বিরাট সূচক।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) মতে, আজকের ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের চিন রাজ্যের হাখার কাছে।
ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন স্থান। ঢাকায় পরে আরও দুটি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, আসাম, ত্রিপুরা, উত্তরবঙ্গসহ কোলকাতার বিভিন্ন স্থানেও এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
দেশটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উৎসস্থল মিজোরামের থেনজল থেকে ৭৩ কিমি দক্ষিণ-পূর্বে ও ১২ কিমি গভীরে। চট্টগ্রাম থেকে এ উৎসস্থল ১৭৪ কিমি পূর্বে।
এখন পর্যন্ত ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।