ফোর্বসের ‘৩০ আন্ডার ৩০’-তে বাংলাদেশি প্রকৌশলী বাশিমা
বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বসের '৩০ আন্ডার ৩০'-এর সায়েন্স ক্যাটাগরিতে স্থান করে নিয়েছেন বুয়েট প্রাক্তনী বাংলাদেশি প্রকৌশলী বাশিমা ইসলাম।
প্রথানুযায়ী ফোর্বস তাদের ম্যাগাজিনের পাতায় ছাপা ব্যক্তিবর্গের একটি ক্ষুদ্র, বস্তুনিষ্ঠ এবং জীবনঘনিষ্ঠ বিবরণী তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে থাকে। সেখানে বাশিমা রহমানের ব্যাপারে চুম্বকাংশে লেখা রয়েছে, 'ইসলাম, ওরচেস্টার পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট (ডব্লউ পি আই)-এর হবু সহকারী অধ্যাপক, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ডিভাইসের প্রজন্মের উন্নতিকরণ নিয়ে কাজ করছেন। তার গবেষণাকৃত ডিভাইস সৌরশক্তি ও বেতার তরঙ্গ দ্বারা বারবার চার্জিত হতে সক্ষম। এটি শব্দভেদী গুণসম্পন্ন। যানবাহনের চলাচলের শব্দ শুনে এটি পথচারীদের নিরাপদ অবস্থানে গিয়ে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতে পারবে।'
আইওটি ডিভাইসগুলো সচরাচর প্রচলিত ডিভাইসের চেয়ে খানিকটা আলাদা। এগুলো ওয়্যারলেস সিগন্যাল ও সংযোগের মাধ্যমে কাজ করে থাকে। রিমোট সেনসিং, উপস্থিতি শনাক্তকরণ, কোনো বস্তু-অবস্তুগত সত্তার ব্যাপারে ব্যাবহারকারীকে অবহিতকরণই মূলত আইওটি ডিভাইসগুলোর কাজ।
ডব্লিউপিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাশিমা বলেন, 'আমার ইন্টারডিসিপ্লিনারি গবেষণার বিষয়বস্তু বহুমুখী। এটি একাধারে মেশিন লার্নিং, মোবাইল কম্পিউটিং, এম্বেডেড সিস্টেমস, ইউবিকুইটাস কম্পিউটিংকে সংযুক্ত করেছে।'
বাশিমা ২০১৬ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। সেখানে চ্যাপেল হিলের ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলিনা থেকে ২০২১ সালে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
বর্তমানে বাশিমা ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ে প্রফেসর রমিত রায় চৌধুরী এবং প্রফেসর ন্যান্সি ম্যাক এলওয়াইনের অধীনে ভিজিটিং পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সহায়ক হিসেবে কাজ করছেন।
এ বছর '৩০ আন্ডার ৩০' প্রকাশের এক দশক উদযাপন করছে ফোর্বস।
এ ব্যাপারে ফোর্বসের একটি নিবন্ধে চমৎকার একটি লাইন প্রকাশিত হয়েছে: 'বাজি ধরে বলা যেতেই পারে—আজ থেকে দশ বছর পরে আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করব যেটি হবে গত দশ বছর ধরে ফোর্বসের পাতায় যে ৬০০ জন উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক ও উন্নয়নকারীর বিবরণী প্রকাশিত হয়েছে তাদের উদ্যোগ, উদ্ভাবন ও আবিষ্কারে সিক্ত।'